কালীপুজোর পরদিন মহেশতলায় যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। মৃতের নাম বরুণ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মত্ত অবস্থায় রাস্তায় কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ধৃতদের সঙ্গে বরুণের। বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়, তারপরই রক্তারক্তি কাণ্ড। ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। ঘটনাস্থলে মহেশতলার গোপালপুর মালিপাড়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে একটি কালীপুজো চলছিল। ওই পুজো মণ্ডপের সামনেই রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ চিরঞ্জিত মিত্র এবং শুভঙ্কর মিত্র, সম্পর্কে দুই ভাই বরুণ মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বরুণের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু মত্ত অবস্থায় বরুণের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
অভিযোগ, দুই ভাই বরুণকে কার্যত রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। প্রথমে বরুণের বুকে লাথি মারা হয়। এরপর চলে ঘুষি। মারাত্মক জখম হন বরুণ। স্থানীয়রা জানিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় বরুণকে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্ত দুই ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩ জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। কালীপুজোর মণ্ডেপর সামনে এমন পিটিয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাত থেকেই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কি কারণে বচসা থেকে এমন বড় ঘটনা ঘটে গেল তা ঠাওর করতে পারছে না স্থানীয়রাও।