Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগরে ভিড় ৭৫ লাখ পার, আজ পুণ্যস্নান কখন সারলেন ভক্তরা?

গত দু'দিন হল কনকনে শীত বাংলাজুড়ে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাগরে যে পারদ আরও নিচে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই আবালবৃদ্ধবনিতা রবিবার মাঝরাত থেকে সাগরে শুরু করেছে পুণ্যস্নান।

Advertisement
গঙ্গাসাগরে ভিড় ৭৫ লাখ পার, আজ পুণ্যস্নান কখন সারলেন ভক্তরা?Gangasagar Mela

গত দু'দিন হল কনকনে শীত বাংলাজুড়ে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাগরে যে পারদ আরও নিচে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই আবালবৃদ্ধবনিতা রবিবার মাঝরাত থেকে সাগরে শুরু করেছে  পুণ্যস্নান।  রবিবার রাত ১২.১৩ মিনিট থেকে মকর সংক্রান্তির  পুণ্যস্নানের সময় শুরু হয়েছে। কিন্তু রাতে সাগরে জোয়ার থাকার কারণে কাউকেই ওই সময়ে সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি। সোমবার ভোর তিনটে থেকে শুরু হয়েছে স্নান। আজ রাত বারোটা পর্যন্ত চলবে পূণ্য লগ্ন। যদিও সাগরে স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ সকাল ৯টা ১৩। 

এদিকে  স্নান শুরু হতেই গঙ্গাসাগর মানুষের ঢল। মোক্ষ লাভের আশায় সাগরের জলে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেবেন সকলে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোক্ষ লাভের আশায় গঙ্গা সাগরে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় পঁচাত্তর লক্ষের বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে বলেই দাবি প্রশাসনের। প্রসঙ্গত  মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শনিবার  জানিয়েছিলেন, মেলায় পৌঁছে গিয়েছেন ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী। সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। গঙ্গাসাগর সাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে কপিল মুনির আশ্রম । মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নানের পর অনেকেই কপিল মুনি আশ্রমে পুজো দিচ্ছেন । প্রবল ঠান্ডা কে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ পূন্যার্থীর মুখে একটাই আওয়াজ কপিলমুনি কি জয়।গঙ্গা মাই কি জয়। ধূপ, ধুনোর গন্ধে মোহময় হয়ে উঠেছে গঙ্গাসাগর।

নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা। মেলাতে  ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স কর্মী, ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী আছেন।সাতটি ফ্রি ওয়াইফাই জোনও রাখা হয়েছে। এছাড়া, বিদ্যুতের টাওয়ারে ও জেটিতে কুয়াশাভেদি আলো, যানবাহনগুলিতে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। 

Advertisement

গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কোনও অব্যবস্থা না হয় সেদিকে নজর রাখছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। মেলার গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।  পূণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি চলছে সবসময়। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেকর্ড সংখ্যক পূণ্যার্থীর সুবিধার্থে এবছর দশ হাজারের বেশি শৌচাগার তৈরি হয়েছে সাগরে। বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আট ও কচুবেড়িয়া থেকে সাগরমেলা পর্যন্ত আড়াই হাজার অতিরিক্ত বাস চালানো হচ্ছে। জলপথে ৩৮টি ভেসেল, ৬টি বার্জ ও ১১০টি লঞ্চ চলছে। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছে ৫৪৮ ড্রপ গেট।  শুধু গঙ্গাসাগর নয়, এলাহাবাদের প্রয়াগে এবং দেশের বিভিন্ন পুণ্য নদীতে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে ভিড় করেছেন পূণ্যার্থীরা । এবার ই-দর্শন ও ই-স্নানেরও ব্যবস্থা আছে ।

POST A COMMENT
Advertisement