SIR Malda: ২০০২-এর তালিকায় নাম নেই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর, SIR-এর আগে চাঞ্চল্য মালদায়

SIR-এর আগে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। সেই তালিকা মিলিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। মালদা জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় অনেকেরই সেই তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement
২০০২-এর তালিকায় নাম নেই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর, SIR-এর আগে চাঞ্চল্য মালদায়মালদায় SIR নিয়ে চাঞ্চল্য
হাইলাইটস
  • SIR-এর আগে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।

SIR-এর আগে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। সেই তালিকা মিলিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। মালদা জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় অনেকেরই সেই তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর নাম নেই বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।

মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রায়পুর এলাকার ঘটনা। SIR-এর নামে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বলে দাবি তৃণমূলের। রায়পুর বুথ থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ঊষা মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ২০০২ সালের যে ভোটার তালিকা আপলোড করা হয়েছে, তাতে তাঁর স্বামী তপন মণ্ডলের নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শুধু তাঁরই নয়, গ্রামের অনেকের নামই ২০০২ সালের সেই তালিকায় পাওয়া যায়নি। তার জেরে সকাল থেকেই নথিপত্র নিয়ে লম্বা লাইন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে রয়েছেন গ্রামের একাংশ। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কেউ নাগরিকত্ব হারাবেন না। কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে আসেন হিন্দু হন তাহলে সিএতে আবেদন করুন। বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের নাম কাটা যাবে। এটা নিশ্চিত।

অপরদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য ঊষা মণ্ডল বলেন, আমার স্বামীর তালিকায় নাম নেই। আমার এলাকায় আরও প্রচুর মানুষের নাম নেই। এটা হিন্দু এলাকা। একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। এজন্য মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আমার কাছে তাঁরা বারবার ছুটে আসছেন। আমি বুঝতে পারছি না কী করব। এই বিষয়ে ঊষা মণ্ডলের স্বামী বলেন, SIR না হলেই ভাল। নাহলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষ কাগজপত্রের জন্য পাগল হয়ে যাবে। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে বিজেপি এই খেলা খেলছে দাবি জেলা তৃণমূলে সহ-সভাপতি শুভময় বসুর। তিনি বলেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম কাটতে দেবো না। হিন্দুদের,আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারুর নাম বাদ যাবে না। তবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলমানদের নাম শাসক দল ঢুকিয়েছিল সেগুলো কাটা হবে। দাবি বিজেপি দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অজয় গাঙ্গুলির।

Advertisement

রিপোর্টার- মিলটন পাল

POST A COMMENT
Advertisement