মুর্শিদাবাদে গিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘের একাংশের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তুললেন মমতা। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরাসরি তাঁর নাম নেননি। যদিও নাম মোটামুটি আন্দাজ করতে পারছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সেবাশ্রমের এই 'একাংশে'র বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন মমতা বলেন, 'যদি আপনারা বলেন, দু'টো মসজিদের ইমামকে ফোর্স করা হয়েছে, তাহলে এখানে একটা সেবাশ্রমও আছে আপনারা জানেন,তিনি কী করেন, তাঁর কী কুকীর্তি, কীভাবে মানুষকে প্রভোক(প্ররোচিত) করে, বেলডাঙা থেকে শুরু করে সুতি, ধুলিয়ান, আমি সব জানি। এমনকি উনি মাঝে মাঝে রাতে লাইট নিভিয়ে দেন। যেমন যখন ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন চলছিল, উনি ৪৮ ঘণ্টা লাইট নিভিয়ে রেখেছিলেন। এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। লাইট কেন নিভিয়ে রেখেছিলেন? মুখ লোকাতে?'
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একাংশের বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’র অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন...
গত বছর মে মাসে লোকসভা ভোটের আগে গোঘাটে মমতা বলেছিলেন, 'সব সাধু সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।'
তিনি আরও বলেছিলেন, 'দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বলে, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলো। কেন করবে সাধু-সন্তেরা এই কাজ?'
সেবাশ্রমে দাঁড়িয়েই সংঘের একাংশের সমালোচনা
চলতি বছর জানুয়ারিতেও গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে দাঁড়িয়ে সংঘেরই একাংশকে সেবার কাজ না করায় অভিযুক্ত করেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, 'ঝড়, জল, সাইক্লোন, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর কাউকে না পেলে ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আপনারা পাবেনই। একটা দু’টো জায়গায় কয়েকজন লোক আছেন যারা হয়তো কাজটা করেন না। ৯৯ শতাংশ লোক কাজটা করেন।'