২৪-এর লোকসভায় আঞ্চলিক দলগুলি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন। এমনটাই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী স্পষ্ট জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।
অমর্ত্য সেন বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত বিরোধী। এবং বামমনস্ক। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর মতে প্রধানমন্ত্রী পদে মমতার যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
তাঁর কথায়, আমার মনে হয় মমতা ভীষণভাবেই যোগ্য। তবে এটা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি যে, বিজেপির বিরুদ্ধে যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, মমতা সেটাকে কাজে লাগিয়ে সবাইকে একত্রিত করে দেশে বিভেদকামী শক্তিকে রুখে দিতে পারেন। তাঁকে বিজেপির দেশ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকতে হবে।
গত বছর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করতে চেয়েছিলেন। দিদি বলেছিলেন, ‘কোন অঙ্কে, কীভাবে আমি বলব না। তবে চব্বিশে দিল্লিতে বিজেপি থাকবে না, থাকবে না, থাকবে না।’ তারপর অবশ্য আঞ্চলিক শক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
অমর্ত্য সেনও তাঁর সাক্ষাৎকারে চব্বিশের নির্বাচনে আঞ্চলিক শক্তির গুরুত্বের কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তামিলনাড়ুর ডিএমকে, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের কথাও উল্লেখ করেছেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে বিজেপিরও দুর্বলতাও আছে। তিনি বলেছেন, অন্য দলগুলিও চেষ্টা করলে সুযোগ তৈরি করতে পারে। আলোচনায় চলে আসতে পারে। বিজেপি বিরোধী দলগুলি একত্রিত হতে পারবে না, এমন কোনও তথ্য আমার জানা নেই। তবে একই সঙ্গে তিনি মেনে নিয়েছেন, একা কংগ্রেসের পক্ষে আর বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। কারণ কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘থাপ্পড় মেরে ঠিক করে দেব,’ দলেরই কর্মীকে শাসানি উদয়নের