Birbhum Violence: বীরভূমে বগটুই গ্রামে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মমতা জানান, ভয়ঙ্কর নৃশংস ঘটনা।
রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে পৌঁছালেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বুধবারই তিনি এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে ৩৫৫ ধারা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন। এদিন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। সেখান থেকে সাংবাদিকদের মুখে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বলেন, বেশ কিছু দেহ গায়েব করা হয়েছে।
চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। একটা কেসে ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। একজনের নিচের অংশ পুড়ে গিয়েছে। একটি বাচ্ছাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ৫ জন আহত। যাঁরা ৬০ শতাংশ পুড়েছে তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে গেলাম। যাঁরা অল্প আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ঘটনায় আহত বেশকয়েকজন ভর্তি রয়েছেন।
আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা মুখ্যমন্ত্রীর। অন্যদিকে হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। উঠছে 'গো ব্যাক' স্লোগান।
ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা অল্প আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাড়ার লোকেদের ফিরিয়ে আনতে হয়ে গিয়েছ। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একজনকে খুন করল, তারপর বাড়িতে আগুন লাগাল। গোটা ঘটনা পুলিশ দেখবে। আমি এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করবো না। স্থানীয় লোক করেছে নাকি বাইরে থেকে এসেছে, তা দেখতে হবে। পুলিশকে নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আপাতত, বাড়ি ঠিক করতে ১ লক্ষ করতে দেওয়া হবে। দরকারে আরও ১ লক্ষ দেওয়া হবে। আরও ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর ১০টি পরিবারকে ১টি করে চাকরি দিতে হবে। সমস্ত বাংলায় তল্লাশি চালাও। যেখানে বোমা, যন্ত্রপাতি আছে তা উদ্ধার করতে হবে। প্রথম ১ বছর ১০ হাজার টাকা করে পাবে। তারপর স্থায়ী হয়ে যাবে। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানে বড় চক্রান্ত আছে। পুলিশ পিকেটিং রাখতে হবে। আহতদের চিকিৎসা করতে হবে। যাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, তাদের দ্রুত ১ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। যাতে বাড়ি ঘর সাড়াতে পারে। জেলাশাসককে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
আনালরু ব্লক প্রেসিডেন্ট। সে খবর পেয়েও পুলিশ পাঠায়নি। তাকে গ্রেফতার করা হবে। এসডিপিও দায়িত্ব পালন করেনি। আইসি দায়িত্ব পালন করেনি। ডিআইবি দায়িত্ব পালন করেনি। যারা জেনেশুনেও দায়িত্ব পালন করেনি, তাদের কঠোর শাস্তি চাই। তেমনভাবেই সাজাতে হবে কেস। কোনও কথা শুনতে চাই না। আমি ঘটনার নিন্দা করছি। যেখানে পালিয়ে যাক ধরে আনতে হবে। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
ভয়াবহ ঘটনা। এটা দুঃখ ব্যথার ঘটনা। আমি শোনার পরেই ববিকে বলি ইমিডিয়েট যা। কেষ্টকেও বলি। আমি ভাবতে পারি না এমন ঘটনা। ভাদু খুন হয়েছ। তারপর আরও ১০টি বাড়িতে আগুন ধরেছে। পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার পর বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। দুই পরিবারের সঙ্গেও তিনি আলাদা করে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও খবর।
বীরভূমকাণ্ডের আঁচ ইতিমধ্যেই পৌঁছেছ দিল্লিতে। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর অফিসে পৌঁছাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
হেলিকপ্টারে বীরভূম পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
গ্রামে ফিরলেন ভাদু শেখের পরিবার। বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিন। অন্যদিকে প্রথম গ্রামে পৌঁছল সিট। রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিং। (প্রতিনিধি-সূর্যাগ্নি রায়)
রামপুরহাটকাণ্ডে ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গড়েছে বিজেপি। এদিন সেই দলের সদস্যরাও যাচ্ছেন রামপুরহাটে। দলে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রামপুরহাটকাণ্ডে বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভ বিজেপির। পরে ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
রামপুরহাট যাওয়ার পথে অধীর চৌধুরীকে পুলিশের বাধা। যার জেরে মাঝপথেই বসে অবস্থান শুরু অধীরের। কংগ্রেস নেতার দাবি, রাজ্য সরকারকে সমস্ত রুট জানানো হয়েছিল। তারপরেও আটকানো হয়েছে তাঁকে। (প্রতিনিধি-ভাস্কর মুখোপাধ্যায়)
ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে রামপুরহাট পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে ১২টা নাগাদ রামপুরহাট পৌঁছনোর কথা তাঁরা। প্রথমেই যাবেন সার্কিট হাউজে।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বীরভূমের রামপুরহাটে যাচ্ছে বিরোধীরাও। রামপুরহাটে যাচ্ছে বিজেপি। যাওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীরও।
রামপুরহাটের ঘটনাকে ইতিমধ্যেই দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি বলেন, সরকারটা আমাদের। আমরা কি চাইবো কখনও কেউ খুন হোক? সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার জন্য এই চক্রান্তগুলি করা হয়।'