রামপুরহাটকাণ্ডকে ঘিরে সোমবার ধুন্ধুমার বেঁধে যায় রাজ্য বিধানসভায়। অধিবেশনের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়। তবে সেই দাবি খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গেরুয়া ব্রিগেড। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। একসময় হাতিহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে। হাতাহাতির মাঝে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়। গোটা ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ (Suvendu Adhikari) মোট ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিধানসভার অন্দরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যেজুড়ে। একইসঙ্গে মানুষের স্মরণে আসতে শুরু করে অতীতে ঘটে যাওয়া এই ধরনের আরও কিছু ঘটনা। একসময় সাংসদ থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে সংসদের অন্দরেই উঠেছিল শাল ছুঁড়ে মারার অভিযোগ। সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। আর শুধু তাই নয় সংসদের ওয়েলে বসে বিক্ষোভ দেখানোরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিধানসভায় ভাঙচুর
আবার ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো প্রকল্প গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে যখন উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি ঠিক সেই সময়েই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কদের (TMC MLA) বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। এরপর বছর কয়েক আগে বিরোধী দলনেতা থাকার সময় বিধানসভাতেই হৈ হট্টগোল ও হাতাহাতির মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল মান্নান (Abdul Mannan)। সেই সময় হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন - 'নিজের ওপরেই প্রয়োগ করবো', বললেন আত্মহত্যার মেশিনের আবিষ্কর্তা