বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই নন্দীগ্রামে (Nandigram) পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গোটা ভোটের লড়াইটাই লড়েন পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ও হুইলচেয়ারে চেপে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল সেই পায়ে আঘাত লাগার প্রসঙ্গ। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "যাঁরা মারধরের হুমকি দিচ্ছে, মানুষ তাঁদের জবাব দেবেন। নন্দীগ্রাম নির্বাচন করতে এসে আমরা পা ভেঙে-মুচড়ে দিয়েছিল। আমার পায়ে দাগ এখনও রয়েছে। এখনও পা ফুলে রয়েছে, সম্পূর্ণ সেরে ওঠেনি। তখন সেই পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে আমি নির্বাচনে প্রচার করেছিলাম। আমি ছেড়ে যাওয়ার লোক নই, ছেড়ে যাবও না"।
রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, এদিন সেই বিষয়েও মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন,"রামনবমীর পাঁচদিন মিছিল হবে কেন? রামনবমীর দিন মিছিল করতে পারেন, তবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার কোনও অধিকার নেই"। একইসঙ্গে আসন্ন হনুমান জয়ন্তী নিয়েও সাবধানবাণী শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলেন, "৬ তারিখ আমি পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার কথা বলব। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও সতর্ক থাকতে বলছি। এইদিনকে কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি করা হতে পারে"।
'নো ভোট টু মমতা'
অন্যদিকে এদিন চন্দ্রকোনার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও ভোট না দেওয়ার আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লাল হরফে 'নো ভোট টু মমতা' লেখা সাদা টি-শার্ট পরে বক্তব্যও রাখতে দেখা যায় তাঁকে। সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, একটাও কোনও ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে"।
আরও পড়ুন - দেশে ফের বাড়ছে করোনা? আক্রান্ত ছাড়াল সাড়ে ৩ হাজার, মৃত ১১