Adhir Chowdhury: 'রেশন দুর্নীতি জানতেন, ভাগ খেয়েছেন,' মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা অধীরের
মাঠে ঘাটে, ধুলোর গন্ধে মাটি মাখা দিদি আর নেই। এই দিদি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন বিউটিশিয়ানদের পেছনে। মঙ্গলবার এমনভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু তাই নয়। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'এই রেশন দুর্নীতি তিনি জানতেন, তিনি ভাগ খেয়েছেন।'
Congress leader Adhir Ranjan Chowdhury (File Photo) - কলকাতা,
- 07 Nov 2023,
- (Updated 07 Nov 2023, 3:05 PM IST)
হাইলাইটস
- মাঠে ঘাটে, ধুলোর গন্ধে মাটি মাখা দিদি আর নেই। এই দিদি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন বিউটিশিয়ানদের পেছনে। মঙ্গলবার এমনভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
- শুধু তাই নয়। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন তিনি।
- কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'এই রেশন দুর্নীতি তিনি জানতেন, তিনি ভাগ খেয়েছেন।'
মাঠে ঘাটে, ধুলোর গন্ধে মাটি মাখা দিদি আর নেই। এই দিদি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন বিউটিশিয়ানদের পেছনে। মঙ্গলবার এমনভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু তাই নয়। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'এই রেশন দুর্নীতি তিনি জানতেন, তিনি ভাগ খেয়েছেন।'
এদিন রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে অধীর চৌধুরী বলেন:
- পশ্চিমবঙ্গের সবই তো দিদির নামে। দিদি ছাড়া এই বাংলার মানুষ আর কারও ছবি দেখছেন? রবীন্দ্রনাথ হারিয়ে গিয়েছেন, স্বামী বিবেকানন্দ, ঠাকুর রামকৃষ্ণ হারিয়ে গিয়েছেন। কারও ছবি দেখবেন না। বাংলায় ২টি ছবি, দিদিভাই আর খোকাবাবু।
- একটা কথা আছে, 'ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি'। হাকিম সাহেবের(ফিরহাদ হাকিম) গলায় তার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ, এখান থেকে আমি একটা আন্দাজ করতে পারছি। হাকিম সাহেব মনে করছেন তাঁর বিপদ আসছে। বিপদের গন্ধ পেয়ে হাকিম সাহেব তৎপর। ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই ওষুধে কাজ হবে কিনা জানিনা।
- দিদি কী এমন যাদু মন্ত্র জানেন যে তাঁর বিনা বেতনেই সবকিছু চলছে? এত বড়ো সাম্রাজ্য? বিনা পেনশনে সবকিছু চলছে? দিদিকে কী ভূতে টাকা জোগায়? এটাই তো আমরা বলছি, যে টাকার প্রয়োজন হয় না কারণ 'হারাম কা মাল দারিয়া মে ডাল'
- এই দিদি, সেই দিদি নেই। খারাপ ভাবে নেবেন না। এই দিদি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন বিউটিশিয়ানদের পেছনে। মাঠে ঘাটে, ধুলোর গন্ধে মাটি মাখা দিদি আর নেই। এই দিদির এখন বিউটিশিয়ানের দরকার হয়।
- বিজেপি অন্তদ্বন্দ্বে চৌচির। ওই পার্টির বাংলায় কোনও ভবিষ্যৎ নেই।
- এখন দুর্নীতির বড় জায়গা হল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য(Minimum Support Price)। এর উপর তদন্ত হোক। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। এতে বড় দুর্নীতি হয়েছে। চালকল মালিকরা এখান থেকে প্রচুর মুনাফা কামিয়েছে। বাধ্য করেছে কৃষকদের সস্তায় ধান বিক্রি করতে। সস্তায় ধান কিনছে ,সেই চালকল মালিকরা রেশনে দিচ্ছে। রেশনে যখন দিচ্ছে তখন নিজের দাম বুঝে নিচ্ছে। কিন্তু যে কৃষক, সে তার ধানের দাম পাচ্ছে না।
- বাম আমলে যদি রেশন কার্ড দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি এতদিন ধরে কী করছিলেন? কালীঘাটে ঘুমোচ্ছিলেন
আপনাকে তো কেউ বলেনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কালীঘাটে গিয়ে ঘুমাতে।
- যখন আপনার মধ্যে মানুষ দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে, তখন আপনি স্বীকার করার মধ্যে দিয়ে সততার পরিচয় না দিয়ে, উল্টে সেই অসৎ লোকদের রক্ষা করার জন্য আবার নতুন বাহানাবাজি করছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অজ্ঞানে অজান্তে এই বাংলায় কোনও দুর্নীতি হয়নি।
এই রেশন দুর্নীতি তিনি জানতেন, তিনি ভাগ খেয়েছেন, প্রশ্রয় দিয়েছেন। তার জন্যই এত বড় রেশন দুর্নীতি হয়েছে।
এত বড় তৃণমূল পার্টি এমনি এমনি তো চলে না। তার জন্য নোটের দরকার। সেই নোটটা আসবে কোথা থেকে? এই দুর্নীতি থেকে আসে।
- বাংলায় রুট না করলে কীভাবে গোয়ায় গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়? মেঘালয় কংগ্রেসের MLA-কে কোটি কোটি টাকা দিয়ে কীভাবে কিনবে, যদি না বাংলাকে লুট করা হয়? এই লুটের টাকায় সারা ভারতবর্ষে তৃণমূল পার্টি, তার শক্তি বৃদ্ধি করতে এসেছিল। আর তার খনি হচ্ছে এই বাংলা।
আরও পড়ুন