East West Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্রেডিট কার? 'নস্টালজিক' মমতা, পুরনো ছবি পোস্ট করে আসরে বামেরাও

কলকাতার ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো (East-West Metro) শুধু একটি পরিবহণ ব্যবস্থা নয়, বরং এ শহরের আধুনিক পরিকাঠামোর অন্যতম মাইলফলক। তবে এই প্রকল্পের কৃতিত্ব নিয়ে ফের শুরু হয়েছে চর্চা। শুক্রবার হাওড়া থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রোর একটি বড় অংশের উদ্বোধনের আগে থেকেই দাবিদাওয়ার পাল্টা দাবি ঘিরে সরগরম রাজনীতি।

Advertisement
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্রেডিট কার? 'নস্টালজিক' মমতা, পুরনো ছবি পোস্ট করে আসরে বামেরাওইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কলকাতার ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো (East-West Metro) শুধু একটি পরিবহণ ব্যবস্থা নয়, বরং এ শহরের আধুনিক পরিকাঠামোর অন্যতম মাইলফলক।
  • তবে এই প্রকল্পের কৃতিত্ব নিয়ে ফের শুরু হয়েছে চর্চা।

কলকাতার ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো (East-West Metro) শুধু একটি পরিবহণ ব্যবস্থা নয়, বরং এ শহরের আধুনিক পরিকাঠামোর অন্যতম মাইলফলক। তবে এই প্রকল্পের কৃতিত্ব নিয়ে ফের শুরু হয়েছে চর্চা। শুক্রবার হাওড়া থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রোর একটি বড় অংশের উদ্বোধনের আগে থেকেই দাবিদাওয়ার পাল্টা দাবি ঘিরে সরগরম রাজনীতি।

বামেদের দাবি
সিপিএম (CPIM) সাফ জানাচ্ছে, ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো আসলে বামফ্রন্ট সরকারের পরিকল্পনারই ফল। তাঁদের বক্তব্য, ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, সাংসদ মহম্মদ সেলিম-সহ একাধিক নেতা। বামেদের দাবি, প্রকল্পের ধারণা, প্রাথমিক অর্থনৈতিক রূপরেখা এবং জেবিআইসি-র (JBIC) আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব সবই তাঁদের উদ্যোগে হয়েছিল।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দিয়েছেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতার জন্য সমন্বিত মেট্রো গ্রিডের পরিকল্পনা তিনিই করেছিলেন। জোকা, গড়িয়া, এয়ারপোর্ট, সেক্টর ফাইভ, বিভিন্ন প্রান্তকে জুড়ে একাধিক করিডরের সূচনা তাঁর আমলেই হয়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, জমি দেওয়া, রাস্তা তৈরি, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারদের পুনর্বাসন ও প্রশাসনিক জট কাটানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই কেবল রেলমন্ত্রী নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও এই প্রকল্পকে সফল করতে তিনিই এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

 

কেন্দ্রের অবস্থান
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, যদি কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য না থাকত তবে এই প্রকল্প দিনের আলো দেখত না। সুকান্ত মজুমদার থেকে বাবুল সুপ্রিয়, বহু কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদীর আমলেই প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ এগিয়েছে। ইউপিএ জমানায় প্রকল্পের কাজ ২৫ শতাংশও হয়নি, বাকি সিংহভাগ হয়েছে এনডিএ সরকারের সময়ে।

বিতর্কের মূলে প্রশ্ন
তাহলে কৃতিত্ব কার? বামেদের, যাঁরা প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, যিনি রেলমন্ত্রী ও পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাঠামো ও প্রশাসনিক সহায়তা দিয়েছেন? নাকি মোদী সরকারের, যাদের আমলে কাজের গতি বেড়েছে?
বাস্তবতা হল, ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো একদিনে হয়নি। বহু সরকারের উদ্যোগ, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক সহযোগিতার ফলেই আজ তা চূড়ান্ত রূপ পাচ্ছে। কিন্তু জনসমক্ষে কৃতিত্বের লড়াই যেন প্রকল্পের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement