উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ৩টের মধ্যে তিনি পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, 'সমস্ত পর্যটক নিরাপদে। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করেছে পুলিশ।' পাশাপাশি জানিয়েছেন, ৪৫টি ভলভো বাসে করে ৫০০ পর্যটককে সোমবারই নীচে নামিয়ে আনা হবে। দার্জিলিঙের ধসে মৃত পরিবারের জন্য চাকরি ও আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যটকদের ফেরানোর বন্দোবস্ত
মমতা এদিন বলেন, 'সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগরাকাটা, মিরিক, জোড়বাংলো, কালিম্পং। সেখানে বহু সংখ্যক পর্যটক গিয়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করেছি। পুলিশ তাদের নিরাপদে উদ্ধার করেছে। কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবারের একজন নিখোঁজ। তবে ৫০০ জনকে সোমবারই নীচে নামানো হচ্ছে। ৪৫টি ভলভো বাসে নামানো হচ্ছে তাদের। ২৫০ জনকে শিলিগুড়িতে রাখার ব্যবস্থা করেছি।' তবে মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, যারা এখনও নামতে পারেনি, তারা যেন হোটেলেই থাকেন। হোটেল মালিকদেরও নির্দেশ দেন, কোনও ভাবেই যাতে তাদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া না চাওয়া হয়। ভাড়া দেবে সরকার। মমতা বলেন, 'আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার খরচ আমাদের। হোটেলের ভাড়া সরকার দেবে। তাদের নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের। জলে টাকা পয়সা কাগজ পত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের। মানবিকতার খাতিরে আমরা তো দেখবই।'
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এদিন হাসিমারা হয়ে যাবেন নাগরাকাটা। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার তিনি যাওয়ার চেষ্টা করবেন মিরিকে। অন্যদিকে, ধূপগুড়িতে গিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম।
আর্থিক সাহায্য
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পাহাড়ে বিপর্যয়ের ফলে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া প্রতি পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন।