চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। সোমবারই এ কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোন চা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই 'বিভ্রান্তি' দূর করে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, যে সমস্ত চা বাগান দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলি অধিগ্রহণ করবে সরকার। পাশাপাশি, পাট্টা প্রদানের কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সভায় মমতা বলেন, 'চা বাগান অধিগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করতে চাই। যে সব চা বাগান দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, সেগুলি অধিগ্রহণ করে শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া হবে।' একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২টি চা বাগান খোলার প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে একটি কালচিনির বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'বিষয়টি মুখ্যসচিবকে দেখতে বলেছি।' মমতা বলেন, 'সবাইকে পাট্টা দেব। সারা বাংলায় দেব। যে সব চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই সব বাগানের শ্রমিকদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।'
এর আগে, সোমবার বানারহাটের সভায় জলপাইগুড়ির ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার চা বাগান অধিগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন মমতা। চলতি উত্তরবঙ্গ সফরে আলিপুরদুয়ারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে বেশ কয়েক জন চা শ্রমিকের হাতে পাট্টা তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য যে ভাবে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। বলেছেন, 'সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে সরকার। ওবিসিদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প চালু করেছি। রাজ্যের টাকা রাজ্যকে দিচ্ছে না। কী দোষ করেছে?' এর পরই তিনি বলেন, 'আমাদের উন্নয়নের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যের বকেয়া আদায়ের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছি।'বকেয়ার দাবি জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। আগামী ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে হবে সেই বৈঠক।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ভোট এলেই বিজেপি মিথ্যা কথা বলে। আমি রাজনীতি কম করি, উন্নয়ন বেশি করি।'