বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই ক্ষমতায় থাকবে। যাঁরা ভোটের আগে গেল গেল রব তুলছেন তাঁদের মনে রাখতে হবে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই ক্ষমতায় থাকবে। ভোট আসবে ভোট যাবে তবে তারপরও রাজ্যে তৃণমূলই থাকবে। তাই যাঁরা সাধুর ড্রেস পরে অসাধুর কাজ করছেন, তাঁদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। পূর্ব মেদিনীপুরে জিওডব্লিউবি-র পরিষেবা ও উদ্যোগ বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামের কেসটা এখনও বিচারাধীন আছে। প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল কোর্টে কেস পড়ে আছে। কী হয়েছে না হয়েছে তার উত্তর তো মানুষ দেবে। গায়ের জোরে কাউকে খুন করে, লুট করে, নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে অন্যদের বলছে চোর। যে পকেটমারি করে সেই প্রথমে পকেটমার পকেটমার বলে চিৎকার করে। সবচেয়ে বড় পকেটমারি স্কুল এডুকেশনে কে করেছে? ভুলে গেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ? কীসের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন? ওরা চাকরি খাই, আমি চাকরি দিই। তা বলে কারও মাথা চাট করব না, এতটা বিশ্বাস আমাকে করবেন না। মানুষকে আমি বিশ্বাস করি। কারও চাকরি যাক চাই না। যারা চাকরি খেয়েছে, দিল্লির জোরে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়েছে, আমি পরিষ্কার বলছি, ভোটের পর আমরাই থাকব। মনে রাখবেন গদ্দারদের কমরেড, গদ্দারবাবুরা আপনারা সব থেকে বেশি খেয়েছেন। পার্টি থেকে সবথেকে বেশি পেয়েছেন। তারপর কোর্টে গিয়ে লঙ্কাকাণ্ড করেছেন। এখন সাধুগিরি করছেন। যাঁরা অসাধু কাজ করেন, তাঁদের সম্মান জানাই না।'
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'আমিই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করব। টাকা লাগবে। ২-৩ বছরে আমরাই করে দেব। কেন্দ্রের কাছে হাত পাতব না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সম্ভব হবে।'
এদিনের সভা থেকে কেন্দ্র সরকারকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ভোটের সময় দিল্লি থেকে নেতারা আসে, টাকা বিলি করে আর ভোট কেনার চেষ্টা করে। ভোট চলে গেলে সেই সব মানুষের আর দেখা পাওয়া যায় না।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে না। রাস্তার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্র মে মাসের মধ্যে টাকা না দিলে আরও ১১ লাখ বাড়ি করা হবে। ঐক্যশ্রীর স্কলারশিপ, মেধাশ্রীর টাকাও কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। মমতার কথায়, 'তোমরা সব টাকা বন্ধ করে দেবে আর ভোটের সময় ভোট চাইবে। এতই যদি কাজ করেন তাহলে এত ভয় কীসের। কেন ইডি, সিবিআই পাঠানো হচ্ছে?'