বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢুকে গুলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মালবাজারের সভায় দিনহাটার ঘটনায় এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে কোচবিহারের দিনহাটা-১ ব্লকের গীতালদহ গ্রামপঞ্চায়েতের জরিধল্লা গ্রামে গুলি চালিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বাবু হক নামে একজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন ৫ জন। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। একেবারে সীমান্তবর্তী গ্রামে এই গুলির ঘটনা। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
মৃতের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে অনেকেই মারা গেছে। আমি মনে করিনা, বিএসএফ-এর সবাই খারাপ। মোদী আজ আছে কাল নেই। এটা বুঝতে হবে। আপনারা ঠিক করে কাজ করুন। আজ সকালেও একজনকে মারা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্ডার থেকে এসে একজনকে গুলি করে মেরে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফএর গুলিতে যারা মারা গিয়েছেন, তাঁরা হোমগার্ডের চাকরি পাবেন।'
এদিন মালবাজারে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে বিজেপিকে অলআউট আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটে সব আসনের দখন নেয় বিজেপি। ফলে এবার আগে থেকেই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করে এগোচ্ছে তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকার বলেছিল, তারা জিতলে চা বাগান খুলে দেবে। কিন্তু একটাও খোলেনি, খুলেছি আমরা। চা বাগানে ট্যুরিস্ট স্পট হতে পারে। চাকরি হতে পারে। হোটেল-দোকান হতে পারে। চা বাগানগুলিকে পাট্টা দেব।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, '৩৪ বছর সিপিএমের আমল দেখেছেন। কিচ্ছু করেনি। বিজেপিও কিছু করেনি। জলপাইগুড়িতে আমরা চিড়িয়াখানা বানিয়েছি। বিশ্ববঙ্গ ক্রীড়া কেন্দ্র হয়ছে। সেক্রেটারিয়েট হয়েছ গজলডোবা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম সেন্টার করা হয়েছে। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার বা়ড়ির সংস্কার করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা কথায়, '১১টা বিদ্যুৎতের সাব স্টেশন করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি মহিলা পুলিশ স্টেশন করা হয়েছে। ভুটান-বাংলাদেশ, নেপাল সংযোগকারী বাংলাদেশ রাস্তা হয়েছে। চতুর্থ মহানন্দা সেতু গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান আপনারা যাতায়াত করতে পারবেন গাড়িতে। জলপাইগুড়িতে ১ লক্ষ ৫৪ হাজারেরও বেশি বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছি। মজদুরকা মজুরি ৬৭ টাকা ছিল, বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।'