নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকের এক সপ্তাহ পরেই ফুরফুরা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নবান্নে আসেন। ২৫ মিনিটের বৈঠকে নওশাদ মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁকে 'কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না'। তার সাত দিন যেতে না যেতেই ফুরফুরা যাওয়ার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সোমবার বিকেল ৪টেয় সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নওশাদ সিদ্দিকির সাদা এসইউভি নবান্নে প্রবেশ করে। তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। প্রায় ২৫ মিনিট বৈঠকের পর বেরিয়ে আসেন। গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফুরফুরার ভাইজান। জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর MLALAD- অর্থাৎ বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচে বাধা আসছে। সেই অভিযোগ করতেই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বিধানসভাতেও এই বিষয়টি তুলেছিলাম যে এমএলএ ল্যাডের টাকা পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করছে না। ফেলে রাখছে। তাতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে।'
নওশাদ আরও বলেন, 'আমার আড়াই বছর নষ্ট করেছে। আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না... এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিধানসভায় দল নির্বিশেষে উন্নয়নমূলক কাজ করতে বলছেন।' নওশাদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে পঞ্চায়েত সমিতি তাঁর টাকা বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করছে না। এর ফলে এলাকার উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নওশাদ সিদ্দিকি জানান, এই কাজে বাধা দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরাই আবার স্থানীয় মানুষদের বোঝাচ্ছেন যে এমএলএ কোনও কাজ করছেন না। এদিকে তাঁরাই টাকা আটকে রাখছেন।
এদিকে এই আলোচনার এক সপ্তাহের মাথাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনায় শুরু হয়েছে জল্পনা। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে নওশাদ-মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনায় রাজনৈতিক 'অ্যাঙ্গেল' খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে গত সোমবার নবান্ন থেকে বের হয়ে সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন নওশাদ স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, 'আমার নিজের দল আছে। মাথার উপর একাধিক মামলা নিয়ে আমি ঘুরছি।'
সব মিলিয়ে সোমবার ফুরফুরায় মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার পর ঠিক কী রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।