কথা দিয়েছিলেন, সেই মতো রবিবার দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে হাসিমারায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা নীলপাড়া ফরেস্ট কমিউনিটি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ মিটিং করবেন তিনি। তারপর যাবেন দার্জিলিঙে। সেখানকার একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ত্রাণ নিয়েও তদারকি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আগেরবারের সফর শেষে কলকাতা ফেরার সময়ে জানিয়েছিলেন, দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মিরিক এবং নাগরাকাটায় প্রায় ৪০০ ব্যাগে করে দুধ, চাল, কম্বল, সোয়েটার, শাড়ি এবং অন্যান্য জামাকাপড় পাঠানো হয়েছে। আরও পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যা দ্বিতীয়বার এসে খতিয়ে দেখবেন। মনে করা হচ্ছে, এবারের সফরে সেই ত্রাণ কতটা পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে, তারই হিসেবনিকেশ দেখবেন তিনি। পাশাপাশি কোন কোন এলাকা, রাস্তা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলিকে কত দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হবে, তাও তদারকি করবেন তিনি। একইসঙ্গে কত ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে তারও হিসেব নেবেন।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১২ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। প্রত্যেককেই আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রাণ শিবিরে যারা রয়েছেন, তাদের কত দ্রুত ঘরে ফেরানো যাবে, তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর উদ্ধারকার্য এবং কী কী পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত করা হয়েছে তার রিপোর্ট নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধস এবং নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এখনও ছন্দে ফিরতে পারেনি অধিকাংশ এলাকা। ব্রিজ ভেঙেছে, রাস্তা ধসেছে, বাড়ি-ঘর ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে।