
খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি খগেনের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন। তার পর তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামান করে বেরিয়ে আসেন।
এ দিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, 'আর এমনি ঠিক আছে। আমি ডাক্তারের রিপোর্ট এবং সবকিছু দেখেছি। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আসলে ওর ডায়াবেটিস রয়েছে। ডায়াবেটিস বেশি থাকলে কন্ট্রোল করার প্রয়োজন হয়। ওর কানের পিছনে লেগেছে... ওর সঙ্গে কথা হয়েছে।'
এর পাশাপাশি তিনি যে খগেন মুর্মুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন, সেটাও জানিয়েছেন। আর তাঁর এমন হঠাৎ হাসপাতাল পরির্দশনেই আপাতত চমকে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি।
এখনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি
মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে খগেনকে দেখতে গেলেন। তার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হলেন। কামনা করলেন তাঁর দ্রুত সুস্থতা। তবে এই গোটা বিষয়টা নিয়ে কোনও বক্তব্যই জানায়নি বিজেপি।
রিপোর্ট চেয়েছে সচিবালয়
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় লোকসভার সচিবালয় পক্ষ থেকে চিঠি গিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে মন্ত্রকের কাছ থেকে।
নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী
এই হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাদের দলের বিধায়ক, সাংসদরা যে নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়েছে, তা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়। এই ঘটনা তৃণমূলের অমানবিকতা এবং রাজ্যের শোচনীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরছে।'
পাল্টা দেন মমতা
তবে মোদীর কথা মুখ বুঁজে সহ্য করেননি মমতা। তিনিও এক্স-এ পাল্টা ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক, প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রমাণিত তথ্য, তদন্ত বা প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া সরাসরি তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন। এটা শুধু রাজনৈতিক শালীনতার নয়, বরং সাংবিধানিক নীতিরও লঙ্ঘন।' রাজ্য সরকারের কথা শোনার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান তিনি।
কী হয়েছিল?
উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের পর নাগরাকাটার বামনডাঙায় পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। আর সেখানেই তাঁদের উপর নৃশংস হামলা হয়। তাঁদের দিকে পাথর, ইট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতেই আহত হন খগেন মুর্মু।