Mamata Banerjee: রাজ্যে হবে হার্ট, কিডনি ও লিভার ব্যাঙ্ক, প্ল্যান ঘোষণা করলেন মমতা

'আমাদের প্ল্যান আছে, একটা লিভার ব্যাঙ্ক হচ্ছে। এসএসকেএম সম্ভবত একটা অর্গান ব্যাঙ্ক করছে। আমার একটা একটা প্ল্যান আছে একটা কিডনি আর হার্ট ব্যাঙ্ক তৈরি করার। অর্থাৎ, ধরুন একটা পা কেটে বাদ দেওয়া হল। অর্গ্যান অন্যের শরীরে কাজে লাগবে। যার একটা পা, সে যেন দুপায়ে হাঁটতে পারে।'

Advertisement
রাজ্যে হবে হার্ট, কিডনি ও লিভার ব্যাঙ্ক, প্ল্যান ঘোষণা করলেন মমতা
হাইলাইটস
  • এদিন রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে একসঙ্গে ১১০টি সম্পূর্ণ সজ্জিত মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট চালু হল।

'আমাদের প্ল্যান আছে, একটা লিভার ব্যাঙ্ক হচ্ছে। এসএসকেএম সম্ভবত একটা অর্গান ব্যাঙ্ক করছে। আমার একটা একটা প্ল্যান আছে একটা কিডনি আর হার্ট ব্যাঙ্ক তৈরি করার। অর্থাৎ, ধরুন একটা পা কেটে বাদ দেওয়া হল। অর্গ্যান অন্যের শরীরে কাজে লাগবে। যার একটা পা, সে যেন দুপায়ে হাঁটতে পারে। যার একটা হাত, যে যাতে দুটো হাতে কাজ করতে পারে। নানারকম আইডিয়া চলছে। প্ল্যান চলছে। এগুলো বাস্তবায়িত করতে পরিকল্পনা ও টাকা লাগে।' মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে একসঙ্গে ১১০টি সম্পূর্ণ সজ্জিত মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট চালু হল। স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

প্রত্যেকটি ভ্যানে আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ, রক্তচাপ ও শর্করা মাপার মেশিন, এমনকি ইসিজি করার ব্যবস্থাও থাকবে। ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান থাকবেন প্রতিটি ইউনিটে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দলের রাজ্যসভার সাংসদদের উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়া ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২১০টি ভ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১১০টির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন 'এর আগে সাংসদদের তহবিল থেকে ৩০০ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছিল। এবার দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবার ধাঁচে এই চলমান হাসপাতাল চালু করা হল।' রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ইউনিক পরিষেবা সচল রাখতে প্রতি মাসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী চান স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সরাসরি মাটির মানুষের দরজায় পৌঁছাক, আর এই মোবাইল ইউনিটগুলি সেই সেতুবন্ধনের ভূমিকা নেবে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement