বাংলার রাজনীতিতে ফের উঠে এল মুখ্যমন্ত্রিত্বের স্থায়িত্ব নিয়ে আলোচনার ঝড়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, 'জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বের রেকর্ড ভেঙে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ মা-মাটি-মানুষের সরকার হবে। জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভাঙার পরও তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।'
জ্যোতি বসু টানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার নজির গড়েছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। কুণাল ঘোষের মন্তব্যে স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে চায়।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। তাঁর আরও বক্তব্য, 'কিছু মানুষ অকারণ কুৎসা করছেন। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত চোখ বুজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা। যদি না দিল্লির বৃহত্তর দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রসঙ্গেও কুণালের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, 'এই গোটা প্রক্রিয়ায় বিরোধীদের বছরের পর বছর গভীর অবসাদ নিয়ে কুৎসা করা ছাড়া কোনও কাজ থাকবে না।'
এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা। বিরোধীরা কুণালের এই দাবিকে 'রাজনৈতিক অহং' হিসেবে দেখলেও, তৃণমূল সমর্থকরা বলছেন, এটা দলের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।
রাজনীতির ময়দানে কে কতদূর এগোতে পারবেন, তা সময়ই বলবে। তবে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য যে ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত বহন করছে, তা নিয়ে সংশয় নেই।