Mamata on Tilapia: তেলাপিয়া নিয়মিত খেলে তার থেকে নাকি শরীরের ক্ষতি হয়। অনেকের মুখেই আজকাল এমনটা শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে পরীক্ষা করে এই দাবির কোনও সত্যতাই মেলেনি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'কারা রটালো যে তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয়?'
মুখ্য়মন্ত্রী এদিন জানতে চান, 'আমেরিকান কই কি মাইনাস কিছু হচ্ছে? হলে তোমাকে এখানে বলতে হবে না, আমার কাছে কিছু খবর আছে। ইস ইট ফ্যাক্ট? আমেরিকান কই, যেটা বলত... তেলাপিয়া। ওটা মানুষ বেশি খায়। তেলাপিয়ার শরীরের দিক থেকে কোনও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট আছে কি?'
এর উত্তরে এক আধিকারিক জানান, 'না, সেরম টেস্ট করে কিছু পাওয়া যায়নি।' সেটা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, 'এটা কেউ রটাচ্ছে।' তাঁর কথায় সায় দিয়ে ওই আধিকারিকও বলেন, 'এটা কেউ রটাচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।'
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, 'যাঁরা এগুলো রটিয়েছে, তাদের তোমরা ধরছ না কেন?'
মুখ্যমন্ত্রীকে ওই আধিকারিক এটাও জানান যে, তেলাপিয়া যে জলে হয়, সেখানে অন্য মাছ হতে চায় না। তাই শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'না হোক! কিন্তু তেলাপিয়া মাছটা বড় হয়, মানুষের খেয়ে পেট ভরে। উৎপাদনও বাড়ে। তেলাপিয়া মাছে যদি ক্ষতিকর প্রভাব না হয়, তাহলে কারা রটালো যে তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয়। এমনকি আমিও তো তাই জানি। তাহলে আমিও ভুল জানি। যারা রটিয়েছে চালাকি করে, এর মধ্যে নিশ্চয় একটা দুষ্ট চক্র আছে।'
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'তাহলে এখন আমরা মিটিংয়ে বলে দিচ্ছি, তেলাপিয়া মাছ খেলে এসব কিছু হবে না। কোনও নেগেটিভ কিছু নেই। তোমরা এটা অলরেডি টেস্ট করেছ।'
এক আধিকারিক জানান, আমরা জল ধরো, জল ভরোতে আমরা দেশি মাছের উৎপাদন শুরু করেছি, মৌরলা, পুঁটি জাতীয় মাছ। এটা শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মৌরলা, পুঁটি এগুলো লোকে বেশি খায়।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এত জল ধরো, জল ভরোতে যদি পুকুর কাটা হয়ে থাকে, এবং মাছের চাষ করি... মাছের চাষের সমস্যা কী জানো? ছাড়বে ১০০, দাম নেমে ৫ লাখের। কেউ কেউ এতে খুব ইনকাম করে খাব বলে, এটা যেন একটা খাওয়ার জায়গা হয়ে গিয়েছে। এই জায়গাটাকে বন্ধ করতে হবে।'
মাছ চাষের ক্ষেত্রে জল ধরো জল ভরো-তে যাঁর পুকুর, তিনি সঠিকভাবে যত্ন না নিলে সেই দায়িত্ব সেলফ হেল্প গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়ারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।