বর্তমানকে দেখে হাত নাড়লেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেল ৪টে ১০ নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর বের হন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওনার আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, 'আমি দেখলাম জ্ঞান আছে ভালই। উনি হাতও নাড়লেন। বাইপ্যাপে আছেন। বাদবাকি চিকিৎসকরা, যাঁরা ওনার সুশ্রষা করছেন, তাঁরা বলবেন।'
এরপর তিনি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান। বলেন, আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আগের তুলনায় ওদের অনেক উন্নতি হয়েছে। ৯০, ৯৩তে আমি এই হাসপাতালেই ছিলাম।
সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়। বর্তমানে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল।
সোমবার সকালে তাঁর সিটি স্ক্যানও করা হয়। তার পরেই তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আপাতত চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, আগের তুলনায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে আগামী কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে তাঁর সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন টেস্টের রিপোর্ট বেশ ইতিবাচক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় এর মাত্রা সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি ছিল। এখন তা দেড়শোর কাছাকাছি নেমে এসেছে। অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছে।
এর থেকেই আশার আলো জাগছে চিকিৎসকদের মধ্যে। ফুসফুসে ও শরীরে সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। এছাড়া, শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমেছে। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় না দিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে৷ এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মেডিক্যাল বোর্ডে।
গত ২৪ ঘণ্টা জ্বরও আসেনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করায় জ্বর আসা বন্ধ হয়েছে৷ সি রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন টেস্টের রিপোর্ট দেখে বুদ্ধবাবুর ভেন্টিলেশন নির্ভরতা ধাপে ধাপে কমানো নিয়ে চিকিৎসকরা আলোচনাকরবেন।