মদ্যপান করে অত্যাচারের অভিযোগ। রাগের বশে স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের ৬ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করলেন এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার অন্তর্গত নামালক্ষ্যার কুমোরআড়া গ্রামে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শেখ আপন নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থা বাড়ি গিয়ে গোলমাল করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করেন স্ত্রী। পারিবারিক অশান্তি বাধে। অভিযোগ, তারপরেই স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন ওই যুবক। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন যুবকের শাশুড়ি। অভিযোগ, সন্তানকেও বাদ দেননি যুবক। পরিবারের ৬ সদস্যকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করেন তিনি।
জখমদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁরাই তাঁদের তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান। অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে মারধর করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দকুমার থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ভগবানপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শেখ আপনের সঙ্গে নন্দকুমার থানার কুমোর আড়া গ্রামের বাসিন্দা আসমা বিবির বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শেখ আপন স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাতেন। এরপর বেশ কয়েক মাস তাঁর স্ত্রী আশ্রয় নেন বাপের বাড়িতে। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ শেখ আপন মত্ত হয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে অশান্তি করেন। তারপরেই এই ঘটনা ঘটে।
যুবকের স্ত্রী বলেন, 'ও শুধু মেরে ফেলার হুমকি দিত। ২০০৭ সালে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে অত্যাচার করত। একবার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। তারপরে বাপের বাড়ি চলে যাই। পরে কান্নাকাটি করে নিয়ে যায়। কিন্তু তারপরে আবার অত্যাচার করত। আজ নেশা করে অত্যাচার করেছিল। প্রতিবাদ করায় গলায় কোপ মেরেছে। আমার মাকেও মেরেছে।'