scorecardresearch
 

Manipur Terrorist Attack: আনা হল না মেয়ের জন্মদিনের গিফট, শহিদ হয়ে মুর্শিদাবাদের গ্রামে ফিরছেন শ্যামল

শনিবার সকালে মণিপুরের জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন বাংলার এক যুবকও। মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল দাস ছিলেন অসম রাইফেলসেরই কর্মী। শনিবার রাতে কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরে শ্যামল দাসের বাড়িতে খবর পৌছতেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Advertisement
মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবকও মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবকও
হাইলাইটস
  • মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবকও
  • কর্মরত ছিলেন অসম রাইফেলসে
  • শোকের ছায়া মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুরে

শনিবার সকালে মণিপুরের জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন বাংলার এক যুবকও। মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল দাস ছিলেন অসম রাইফেলসেরই কর্মী। শনিবার রাতে কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরে শ্যামল দাসের বাড়িতে খবর পৌছতেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

 রবিবার কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর গ্রামে শ্যামল দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে শুধু কান্নার আওয়াজ। স্বামীর দু'দিন আগেকার ফোনের বার্তালাপ বারবার মনে পড়ছে শহিদের স্ত্রী রুপা দাসের। রূপাদেবী জানিয়েছেন, দু'দিন আগেই একমাত্র মেয়ে দিয়া দাসের জন্মদিন ছিল। মেয়েকে হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে শেষ ফোন করেছিল ওর বাবা। জানিয়েছিলেন,  খুব শিগগির হ্যাপি বার্থ ডের গিফট নিয়ে ফিরবেন গ্রামে। 

শনিবার রাতে জঙ্গি হানায় শ্যামলের মৃত্যুর খবর আসে গ্রেম। শ্যামল দাসের বাবা ধীরেন দাস জানিয়েছেন, আমরা খুবই দুস্থ পরিবারের। আমার দুই ছেলে। ছোট ছেলে কিছুদিন আগেই মারা গেছে। বড় ছেলে দেশরক্ষায় আসাম রাইফেলে কর্মরত ছিল মণিপুরে। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বড় ছেলে শ্যামল যোগদান করে আসাম রাইফেলসে। ছেলের মূল লক্ষ্য ছিল বড় হওয়া। জঙ্গিদের সাথে বহুবার মুকাবিলা হয়েছে, যখনই ছেলে এসেছে বাড়ি, তখনি শুনিয়েছেন  সেইসব কথা। কিন্তু এবার ওই জঙ্গিদের হাতে সব শেষ হয়ে গেল। তবে বৃদ্ধ বাবা বলছেন,  "ছেলের এই মৃত্যুতে আমি শোকাহত নয়। কারণ আমি মনে করি আমার ছেলে শহীদ হয়েছেন। আর শহিদের প্রান সকলের ঊর্ধ্বে। জঙ্গিরা কাপুরুষ। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ওদের খুঁজে বের করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।"  

এদিন সকাল থেকেই মণিপুরের জঙ্গি হামলায় নিহত শ্যামল দাসের বাড়িতে  সমবেদনা জানাতে কাতারে কাতারে গ্রামবাসী ভিড় জমিয়েছিলেন। সকলকে  শহিদের মা (শ্যামল দাস) শোনাচ্ছিলেন, ছেলের রেখে যাওয়া স্মৃতির কথা। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর আগেই ছেলে বাড়ি ফিরে ছিল। কিন্তু দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন কর্মস্থলে ফিরে যান। তখন বলে গেছিলেন, অঘ্রান মাসে জমির নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে অবশ্যই ফিরবেন। কিন্তু তার আগেই ছেলের শহিদের খবর মেলে।

Advertisement

এদিকে মণিপুরে সেনা কনভয় হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন । শনিবার সকালে জঙ্গি হামলায় অসম রাইফেলসের  কমান্ডিং অফিসার, তাঁর স্ত্রী ও পুত্র সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পিপিলস লিবারেশন আর্মি (PLA) ও মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্ট (MNPF) একসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় হামলার চালানোর দায় স্বীকার করে নিয়েছে তারা।

 

Advertisement