scorecardresearch
 

উরিতে শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের মরদেহ পৌঁছল নদীয়ার বাড়িতে, গান স্যালুট

শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের মরদেহ পৌঁছল বাড়িতে। রবিবার বিশেষ বিমানে প্রথমে তাঁর মরদেহ আনা হয় পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে। সেখানে গান স্যালুটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন অজস্র মানুষ। 

Advertisement
শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মানুষ। রবিবার পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনির বাইরে। ছবি: অনিল গিরি শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মানুষ। রবিবার পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনির বাইরে। ছবি: অনিল গিরি
হাইলাইটস
  • শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের মরদেহ পৌঁছল বাড়িতে
  • বিশেষ বিমানে প্রথমে তাঁর মরদেহ আনা হয় পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে
  • গান স্যালুটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়

শহিদ সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের মরদেহ পৌঁছল বাড়িতে। রবিবার বিশেষ বিমানে প্রথমে তাঁর মরদেহ আনা হয় পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে। সেখানে গান স্যালুটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন অজস্র মানুষ। 

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তান সেনার হামলায় শহীদ হন নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ। তাঁর বয়স ২৪ বছর। এদিন তাঁর মরদেহ পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে নিয়ে আসা হয়। সেই খবর জানাজানি হতেই ভিড় ভেঙে পড়ে পানাগড় বায়ু সেনা ছাউনির সামনে। জাতীয় পতাকা নিয়ে শহীদকে শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। স্লোগান ওঠে, 'ভারত মায়ের বীর সন্তান সুবোধ ঘোষ অমর রহে', 'সুবোধ ঘোষের রক্ত, হবে নাকো ব্যর্থ'। সেখান থেকে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগানও ওঠে। পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনি থেকে এদিন বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার বাড়ির দিকে।

শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির বর্ধমান সদরের সহ-সভাপতি রমন শর্মা। তিনি বলেন, খুবই কষ্টের ব্যাপার। আমাদের দেশের  সীমানা রক্ষা করতে গিয়ে একজন প্রাণ দিলেন। সীমানা রক্ষা করতে দেশের জওয়ানরা বলিদান দিচ্ছেন। নিজের প্রাণকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। এই ঘটনা যেমন একদিকে দেশের যুব সমাজের কাছে প্রেরণা যোগায়, তেমনই এটা দুঃখের বিষয় তো বটেই। যেভাবে দেশের জওয়ানরা দেশের সীমানায় প্রহরা দিচ্ছে, তাতে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে সেনা জওয়ানদের সাথে দিওয়ালি পালন করলেন, তাতে তাঁদের উৎসাহ আরও বাড়বে। দেশের সেনা জওয়ানদের প্রতি আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে।

ভারতীয় সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরের গুরেজ থেকে উরি পর্যন্ত হামলা চালায়েছিল পাকিস্তানি সেনা। আর এই হামলার ঘটনায় চার ভারতীয় সেনা, এক বিএসএফ সাব-ইন্সপেক্টর সহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় নিহত হয়েছেন  আট পাকিস্তানি সেনা। তবে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ১১ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন।

Advertisement

Advertisement