Gita Path in Kolkata: কলকাতায় গীতাপাঠ নিয়ে চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কী লিখলেন ?

'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাত সকালে কলকাতার গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ শহরের প্রাণকেন্দ্র ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রবিবার কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, তবে তিনি আসতে পারেননি।

Advertisement
কলকাতায় গীতাপাঠ নিয়ে চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কী লিখলেন ?কলকাতায় গীতাপাঠ নিয়ে মোদীর-বার্তা
হাইলাইটস
  • 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
  • সাত সকালে কলকাতার গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

Gita Path in Kolkata: 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাত সকালে কলকাতার গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ শহরের প্রাণকেন্দ্র ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রবিবার কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, তবে তিনি আসতে পারেননি। রবিবার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে।

শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, "গীতা যে পথের বহুত্ববাদ দেয় তা ভারতীয় চিন্তাভাবনা ও সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" তাঁর বার্তায়, গীতাকে একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা হিসাবে বর্ণনা করেছেন যা অপরিমেয় জ্ঞান প্রদান করে এবং একটি অর্থপূর্ণ জীবনযাপনের পথ প্রদান করে। জীবনে সব বাধা কাটানোর হ্যান্ডবুক।"

আরও বলেন, "আমি ইতিবাচক যে গীতার পাঠ করা এত বিশাল জনসমাবেশের দ্বারা যারা সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে একত্রিত হয়েছে তা কেবল সামাজিক সম্প্রীতিই বাড়াবে না বরং আমাদের দেশের উন্নয়ন যাত্রায় শক্তি জোগাবে। অন্তর্ভুক্তি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সম্প্রীতি আমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি। জ্ঞান, ভক্তি, কর্ম, বা অন্য কোন পথই হোক না কেন, গীতা অগ্রগতি অর্জনের জন্য একাধিক ভিন্ন কিন্তু অবশেষে সংযুক্ত পথের প্রস্তাব দেয়।" তিনি আশাবাদী ২০৪৭ সালের মধ্যে এটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী, উন্নত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত গড়ার স্বপ্ন পূরণের একটি সুযোগ।

রবিবার, অরাজনৈতিক অবস্থান বজায় রেখে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বলে দাবি করেন আয়োজকরা। অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই গীতাপাঠে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধুসন্ত। এছাড়াও মঠ ও মিশনের আশ্রমিক থেকে স্কুল পড়ুয়ারা। অনুষ্ঠানে মোট ২০টি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ৫ হাজার জন করে বসানো হয়েছে। মূল মঞ্চ হয়েছে ৩টে। একটি মঞ্চে আছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী। রয়েছেন  দ্বৈতপতিজি। আরেকটি মঞ্চে আছেন গীতা পাঠ করানোর দায়িত্বে থাকা সাধুসন্তরা।

Advertisement

২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে। এরপর সমবেত কণ্ঠে কাজি নজরুল ইসলামের লেখা 'হে পার্থসারথি, বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ' গানটি গাওয়া হবে। গীতার ৫টি অধ্যায়কে বেছে নেওয়া হয়েছে পাঠের জন্য। এছাড়াও প্রায় দেড় হাজার সাধুসন্ত এইদিন ব্রিগেড ময়দানে শান্তিস্তোত্র পাঠ করছেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গীতাপাঠ চলবে। 

POST A COMMENT
Advertisement