Matua Community Harinam: ব্রিগেডে এবার লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম, মতুয়াদের একাংশের নয়া উদ্যোগ

ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সংজ্ঞা। রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে এই ময়দান। এই কিছুদিন আগেই ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান হয়েছে ব্রিগেডে। আর এবার সেই মাঠেই হতে চলেছে হরিনাম সংকীর্তন। আয়োজক মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ বলেই খবর। জানুয়ারি মাসেই এই অনুষ্ঠান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
ব্রিগেডে এবার লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম, মতুয়াদের একাংশের নয়া উদ্যোগমতুয়াদের হরিনাম
হাইলাইটস
  • কিছুদিন আগেই ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান হয়েছে ব্রিগেডে
  • এবার সেই মাঠেই হতে চলেছে হরিনাম সংকীর্তন
  • আয়োজক মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ

ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সংজ্ঞা। রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে এই ময়দান। এই কিছুদিন আগেই ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান হয়েছে ব্রিগেডে। আর এবার সেই মাঠেই হতে চলেছে হরিনাম সংকীর্তন। আয়োজক মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ বলেই খবর। জানুয়ারি মাসেই এই অনুষ্ঠান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

এই সংকীর্তন নিয়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই তিনি এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, 'একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চাই। লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন হবে। জানুয়ারি মাসেই কোনও একটা দিনে হবে।...'

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়

এই কর্মসূচি হতে চলেছে একবারে অরাজনৈতিক। এখানে রাজনীতির বিন্দুমাত্র ছোঁয়া থাকবে না বলে জানিয়েছেন নান্টু হালদার। তিনি বলেন, 'এই ধরনের অনুষ্ঠান সবাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। কেউ গীতাপাঠের আয়োজন করছেন, কেউ কোরানপাঠের আয়োজন করেছেন। কিন্তু মতুয়ারা একবারেই অরাজনৈতিক।...'

কেন আয়োজন করা হচ্ছে সংকীর্তন?

এই বিষয়টার স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন সভাপতি। তাঁর মতে, এই সংকীর্তন আয়োজন করার পিছনে রয়েছে মতুয়াদের ভোটাধিকারের দাবি তোলা। এই সংকীর্তনের শেষেই ভোটার তালিকায় মতুয়াদের নাম তোলা নিয়ে আবেদন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এখনও অনেক মতুয়া সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্ব পাননি। আর তাঁদের ভোটাধিকার চলে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সেই বিষয়টি নিয়েও আওয়াজ তোলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মাথায় রাখতে হবে, এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশেষত, মতুয়াভূমে রাজনীতির পারদ চড়েছে। একদিকে তৃণমূল বলছে যে মতুয়ারা এমনিই নাগরিক। তাদের আবার কেন সিএএ-তে নাগরিকত্বে আবেদন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে?

অপরদিকে আবার রয়েছে বিজেপি। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে আসা সকল মতুয়াদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব। তারপর তারা ভোটাধিকার পেয়ে যাবেন। তাই চিন্তার কিছুই নেই।

Advertisement

আর এমন দাবি নিয়ে দুই দলই নেমে পড়েছে। তৃণমূলপন্থী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি প্রথম থেকেই এসআইআর বিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছেন। অপরদিকে রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি আবার বিজেপির পক্ষ নিয়ে করে যাচ্ছেন সিএএ ক্যাম্প। মানুষকে ফর্ম ফিলআপে সাহায্য করছেন। যদিও এমন দোটানার মধ্যে ভুগছে সাধারণ মতুয়ারা। তারা বুঝতে পারছেন না এখন কী করা উচিত।

POST A COMMENT
Advertisement