মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তোলপার গোটা রাজ্য। তদন্ত নেমেছে সিআইডি। আর সেই তদন্তে উঠে এসেছে বড়সড় তথ্য। অভিযোগ, মেদিনীপুর হাসপাতালের ডিউটি ফেলে প্রাইভেটে চিকিৎসা করেছেন স্ত্রীরোগ বিভাগের সিনিয়র ডাক্তার। রেজিস্টার থেকে এই তথ্য মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেই রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। কিন্তু কী করে একজন সিনিয়র ডাক্তার সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ডাক্তারদের অনুরোধ, নির্দেশ, হুঁশিয়ারি- সবটাই দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। অভিযোগ, ঘটনার দিনে মেদিনীপুর হাসপাতালের ডিউটি ফেলে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন গাইনি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ দিলীপ পাল। সূত্রের দাবি, তদন্তে নেমে সিআইডি এই বিষয়ে জানতে পারে। তারপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ডেবরা থানার অন্তর্গত বালিচক এলাকার সেই বেসরকারি হাসপাতালে তদন্তকারীরা হাজির হন। রেজিস্টারে দেখা যায়, সেদিন সেই বেসরকারি হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত ডাক্তার। সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় রেজিস্টার খাতা। অন্যদিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই ডাক্তারকে।
ওই বেসরকারী হাসপাতালের মালিক বিদ্যুৎ পাল -সিআইডি তদন্তের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছেন যে ঘটনার দিনে ওই ডাক্তারবাবু তাঁর হাসপাতালে দুটি অপারেশন করেছেন। যা রেজিস্টারে উল্লেখ করা ছিল। তাই সিআইডি সেই রেজিস্টার নিয়ে গেছেন।
একই রকম ভাবে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশিরভাগ ডাক্তারের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়রদের দিয়ে হাসপাতাল চালানোর অভিযোগ প্রকট ভাবে সামনে এসেছে তদন্তকারীদের।
সংবাদদাতা- শাহজাহান আলি