অঙ্কুশ ও মিমি।-ফাইল ছবিবেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত অর্থপাচার মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, রবিন উথাপ্পা এবং অভিনেতা সোনু সুদেরও।
জানা গেছে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-এর আওতায় ‘প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার’ জারি করে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাজেয়াপ্ত করা অর্থ ও সম্পত্তি ‘অপরাধলব্ধ আয়’ বা proceeds of crime-এর সঙ্গে যুক্ত।
এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিদেশে নথিভুক্ত বেআইনি বেটিং প্ল্যাটফর্ম ১এক্সবেট (1xBet)। ইডির অনুমান, এই অনলাইন বেটিং চক্রের মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। সেই অর্থ পাচারের অভিযোগেই দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঙ্কশের ৪৭ লক্ষ ও মিমির ৫৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে এর আগেই সংশ্লিষ্ট সব তারকাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই একই মামলায় এর আগে ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার প্রায় ১১.১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরাকে ঘিরে রাজনৈতিক ও বিনোদন মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
১এক্সবেট একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন জুয়া ও বেটিং সংস্থা, যা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। সংস্থাটির লাইসেন্স রয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কুরাসাও-এ এবং রেজিস্ট্রেশন সাইপ্রাসে। এই ধরনের অফশোর কাঠামোর মাধ্যমে বহু দেশে নিয়ন্ত্রণ এড়িয়েই ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
ভারতে ২০২৩ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় ১এক্সবেট-সহ একাধিক বিদেশি বেটিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন মিরর সাইট, বিকল্প ডোমেন, টেলিগ্রাম চ্যানেল ও অনলাইন লিঙ্কের মাধ্যমে এখনও এই প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার চলছে।