মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূলের একের পর এক বড় নেতারা সিবিআই-ইডির জালে জেলে বন্দি। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিয়েছিলেন, "যব ভ্রষ্ট নেতাও কো ভি জেল জানে কা ডর সাতায়ে, তো ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়। ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়।" সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা একপ্রকার ভয়ে দিন কাটালে সেই ভয় ভালো বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। তবে এই ভয়ে নিডর বলে দাবি করছেন ফিরহাদ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর মঙ্গলবার বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কী ভাবছেন ভয় দেখালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাব? মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকব। যতই ইডি আসুক, সিবিআই আসুক। আমার বাড়িতেও তো এসেছিল, কী পেয়েছে?"
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে লোকসভার আগে বিজেপি থেকে তাঁর কাছে দলবদলের প্রস্তাব আসতে পারে। রাজ্য সরকারের বরিষ্ঠ মন্ত্রী তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকেও। লোকসভার আগে এমন ভয় তাড়া করে বেরাতে পারে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর 'ভয়'-বার্তা নিয়ে চাপ বেড়েছে বিরোধীদের। তবে সব ভয় উড়িয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যআের সঙ্গে থাকারই অঙ্গীকার করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "এখনকার সরকার ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। কিন্তু কয়েকটা নাম বদলে দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। মুঘলসরাই স্টেশনের নাম বদলে দিয়ে ইতিহাসকে পাল্টানো যায় না। ভারতের ইতিহাস থেকে মুঘল আমলকে মুছে দিতে পারবেন না বিজেপি নেতারা।"
একাধিক অবিজেপি রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার অভিযোগ আসছে অনেকদিনই। ভয় দেখিয়ে মন্ত্রী কেনাবেচার অভিযোগও নতুন নয়। শুভেন্দু, সৌমিত্র খাঁয়েদের মতো নেতাদের উদ্দেশ্যে বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।