scorecardresearch
 

TMC MLA Oath Row: শপথের অপেক্ষায় ধর্নাতেই দিন কাটল সায়ন্তিকা-রায়াতের, দিল্লি চলে গেলেন রাজ্যপাল

বিধানসভা উপনির্বাচনে সদ্য জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেনের শপথগ্রহণ ঘিরে জট ক্রমশ বাড়ছে। বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে শপথ নিতে চান সায়ন্তিকা-রায়াত। অন্য দিকে, রাজভবনে শপথগ্রহণ চান রাজ্যপাল বোস। এই নিয়ে টানাপড়েনে বুধবার দুপুরে বিধানসভায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসে পড়লেন সায়ন্তিকা এবং রায়াত। 

Advertisement
বিধানসভায় ধর্নায় সায়ন্তিকা এবং রায়াত। বিধানসভায় ধর্নায় সায়ন্তিকা এবং রায়াত।
হাইলাইটস
  • সায়ন্তিকা-রায়াতের শপথ নিয়ে জট।
  • বিধানসভায় ধর্নায় বসলেন তাঁরা।
  • দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল।

বিধানসভা উপনির্বাচনে সদ্য জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেনের শপথগ্রহণ ঘিরে জট ক্রমশ বাড়ছে। বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে শপথ নিতে চান সায়ন্তিকা-রায়াত। অন্য দিকে, রাজভবনে শপথগ্রহণ চান রাজ্যপাল বোস। এই নিয়ে টানাপড়েনে বুধবার দুপুরে বিধানসভায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসে পড়লেন সায়ন্তিকা এবং রায়াত। 

অন্য দিকে, রাজভবন সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত শপথের জন্য রাজভবনে অপেক্ষা করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। তারপরে তিনি দিল্লি গিয়েছেন বলে খবর। 

সম্প্রতি বরানগরে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা। ভগবানগোলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রায়াত। সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে সায়ন্তিকা জানান যে, রাজভবনে বিধায়ক পদে শপথ নিতে চান না তিনি। বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সায়ন্তিকা। ২৬ জুন রাজভবনে এসে শপথগ্রহণ করার জন্য সায়ন্তিকা এবং রায়াতকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। 

আরও পড়ুন

বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপালের আসার অপেক্ষায় ছিলেন সায়ন্তিকা এবং রায়াত। তারপরেই ধারা বিধানসভার সামনে বসে পড়েন। 

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, রাজভবনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভোটে জিতেও শপথ নিতে পারছেন না সায়ন্তিকা এবং রায়াত। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হতেই ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি পাঠিয়ে শপথ গ্রহণ করতে রাজভবনে আসতে বলা হয় সায়ন্তিকা এবং রায়াতকে। তবে বিধানসভার স্পিকারকে এ নিয়ে কিছু জানায়নি রাজভবন। পরে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছ থেকে বিধায়ক সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায় রাজভবন।  তাতেই ক্ষুব্ধ হন স্পিকার। এরপরই চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালকে সাংবিধানিক নিয়ম স্মরণ করান তিনি। সায়ন্তিকারাও চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানান যে, তাঁরা বিধানসভায় স্পিকারের কাছে শপথ নিতে চান। 

বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে এহেন জটিলতা নতুন নয়। অতীতে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ ঘিরেও একই জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষে রাজভবনে গিয়েই শপথ নিয়েছিলেন নির্মলচন্দ্র। 

Advertisement

Advertisement