ইডি রেডমানব পাচার এবং দেহব্যবসার ব়্যাকেট চালিয়ে কামানো হয় কোটি কোটি টাকা। সেই অর্থ আবার তছরুপ করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় তল্লাশি চালাল। এক্ষেত্রে একযোগে একাধিক বার এবং রেস্তোরাঁয় তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
যতদূর খবর, বিধাননগর, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির অন্তত আটটি জায়গায় চালনো হয়েছে রেড। এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থারা মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) আওতায় এই রেড চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জগজিৎ সিং, আজমল সিদ্দিকী, বিষ্ণু মুন্দ্রা এবং অন্যদের নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ করা হয় পুলিশে। এদের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর এবং চার্জশিট হয়। তার উপর ভিত্তি করেই এই মামলা শুরু করে ইডি। এমনকী চালানো হচ্ছে তদন্ত।
অধিকারিকদের মতে, অভিযুক্তরা মিথ্যে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের শোষণ করে। পাশাপাশি মহিলাদের দেহব্যবসায় আসতে বাধ্য করা হয়। সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা কামায় এই ব়্যাকেট। আর সেই টাকা তাঁরা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ তছরুপ করে।
এর আগেও একাধিক তল্লাশি চালিয়েছে ইডি
বাংলায় বছরের পর বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে ইডি। সারদা মামলা থেকে শুরু করে নারদা, এসএসসি থেকে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারি, একাধিক তদন্ত করেছে ইডি। এমনকী তদন্তের স্বার্থে অনেক হেভিওয়েটকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এ বার মানি লন্ডারিংয়ের আরও একটি কেসে হাত দিল তারা। এক্ষেত্রে মহিলাদের প্রস্টিটিউশনে ব্যবহার করে টাকা কামানো এবং সেটা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আর তদন্তই এখনও চলেছে।
যদিও মাথায় রাখতে হবে, এই তদন্তে ঠিক কী মিলেছে, সেটা এখনও জানা যায়নি। এমনকী কাউকে আটক বা গ্রেফতার করাও হয়েছে বলে জানা যায়নি। এখন দেখার আগামিদিনে এই তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়। কোনও বড় কোনও নাম এক্ষেত্রেও সামনে আসে কি না। তাই নিয়ে আবার কোনও শোরগোল শুরু হয় কি না।