সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পেলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। শনিবার টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সন্দেশখালিতে তাণ্ডব, মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাত থেকেই সন্দেশখালিতে চলছে পুলিশি টহলদারি। এদিন সন্দেশখালি থানায় যাওয়ার পথে রামপুরের কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দলকেও আটকে দেয় পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সন্দেশখালিতে 'আক্রান্ত' মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমি-টুম্পা। কিন্তু তাঁরা সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশকর্মীরা তাঁদের প্রবেশ করতে দেননি। এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৌসুমি ও টুম্পা কয়াল।
এদিন টুম্পা কয়াল বলেন, 'আজ এই জায়গায় এসেছি শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। রাজ্যের মন্ত্রী বলছেন এটা ছোট ঘটনা, তুচ্ছ ঘটনা। আজ হাঁসখালির ঘটনা, কামদুনির ঘটনা, সবেতেই বলা হচ্ছে ছোট ঘটনা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, কয়েকদিন পর আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেউ বাথরুমেও টাঙাবে না। এর আগে আমরা মহিলা কমিশনের কাছে গিয়েও আমাদের লাভ হয়নি।'
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে নবান্নকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। মহিলারা কী অভিযোগ করছেন, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবারও রিপোর্ট চান। মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেন। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়েও আপডেট চান তিনি।
অন্যদিকে, শনিবার সন্দেশখালির প্রতিবাদীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সোমবার ১৪৪ ধারা ভাঙতে সন্দেশখালি যাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, 'আমাদের গ্রেফতার করুক। দেখি কত ক্ষমতা ওদের।' সন্দেশখালিতে পুলিশের বিরুদ্ধে 'এলাকা দখলে'র অভিযোগও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, শনিবা সকালেও সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে নতুন করে অশান্তি ছড়ায় বলে অভিযোগ। রাতে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারী মহিলারা। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ।