scorecardresearch
 

যে কোনও মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুকুল-ঘনিষ্ঠ BJP-র এই ১০ নেতা

মুকুল রায়। ২০১৭ সালে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর হাত ধরে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান অনেকেই। সম্প্রতি মুকুল 'ঘর ওয়াপসি' করেছেন। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, মুকুল ঘনিষ্ঠরা ফের পুরোনো দলে ফিরতে পারেন।

Advertisement
মুকুল ঘনিষ্ঠরা ছাড়তে পারেন বিজেপি মুকুল ঘনিষ্ঠরা ছাড়তে পারেন বিজেপি
হাইলাইটস
  • সম্প্রতি মুকুল 'ঘর ওয়াপসি' করেছেন
  • তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, মুকুল ঘনিষ্ঠরা ফের পুরোনো দলে ফিরতে পারেন
  • কারা কারা রয়েছেন সেই তালিকায়? দেখুন

মুকুল রায়। ২০১৭ সালে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর হাত ধরে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান অনেকেই। সম্প্রতি মুকুল 'ঘর ওয়াপসি' করেছেন। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, মুকুল ঘনিষ্ঠরা ফের পুরোনো দলে ফিরতে পারেন। 

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই মুকুল নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, 'বিজেপি-তে কেউ থাকবে না।' তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা যায় মুকুলের সুর। বলেন, 'মুকুলের সঙ্গে যারা গিয়েছিল, তারাও ফিরে আসতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক।' তবে কারা কারা ফিরতে পারেন তা নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও মুখ খোলা হয়নি। পুরোনো দলে ফিরেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুকুল। বিজেপি-ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে পারেন, এমন অনেকের নামের তালিকাও তিনি তৈরি করে ফেলেছেন। সেই তালিকা এখনও সামনে আসেনি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ১০ জন এমন বিজেপি নেতা রয়েছেন, যাঁরা মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তাঁদের যে কোনও দিন দলে ফিরিয়ে নিতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রইল সেই ১০ জনের তালিকা। 

সব্যসাচী দত্ত- ২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। এবার একুশের নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে বিধাননগরে লড়ে হেরে গিয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁকে BJP-র বৈঠকে দেখা যায়নি বলে শোনা যাচ্ছে। সব্যসাচী দত্ত বিজেপি বরাবরই মুকুল শিবিরের লোক বলে পরিচিত। তাই তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। 

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়- মুকুলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলে খবর। কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও জোরদার হয়। তবে রাজ্যের শাসকদলের অনেকেই চাইছেন না, রাজীবকে দলে নেওয়া হোক। 

Advertisement

সোনালি গুহ- মুকুল রায়ের হাত ধরেই একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে নাম লিখিয়েছিলেন সোনালী গুহ। তবে গেরুয়া শিবিরের থেকে ভোটের টিকিট পাননি। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন তিনি। দলে ফেরার আবেদন জানান। যদিও তৃণমূলের তরফে সোনালিকে নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই খবর। এখন দেখার মুকুলের সৌজন্যে ঘাসফুল শিবির তাঁকে ফিরিয়ে নেয় কি না। 

শান্তনু ঠাকুর- বনগাঁর বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপি ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। মুকুল ঘনিষ্ঠ শান্তনু নিজেই এই জল্পনা বাড়িয়েছেন দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ না দিয়য়ে। 

বিশ্বজিৎ দাস, অশোক কীর্তনিয়া ও  সুব্রত ঠাকুর- বনগাঁর বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও বাগদার বিশ্বজিৎ দাস। এদের মধ্যে বিশ্বজিৎ দাস মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর তাঁর সঙ্গে সেদিন দিলীপ ঘোষের বৈঠকে হাজির ছিলেন না অশোক কীর্তনিয়া ও  সুব্রত ঠাকুর। ফলে তাঁদের নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। 

সুনীল সিং- 'মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলে এসেছি, কী হবে তা ভবিষ্যৎ বলবে।' কয়েরদিন আগে এই মন্তব্য করেন নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং। এরপর স্বাভাবিকভাবেই তিনি দিলীপ ঘোষদের পার্টি ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। 

শীলভদ্র দত্ত - মুকুল রায়ের অনুমাগী বলে পরিচিত শীলভদ্র দত্ত। যদিও মুকুলের তৃণমূলের ফেরার সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এখন জল মাপছেন শীলভদ্র। সুযোগ পেলে তিনিও পদ্মশিবির ছাড়তে পারেন। 

নিশীথ প্রামানিক - কয়েকদিন আগেই অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামাণিক ও সৌমিত্র খাঁ'কে দিল্লি ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে ও পরে মুকুলের তীব্র সমালোচনা করেন অর্জুন ও সৌমিত্র। অথচ এই দুজনই মুকুলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু, মুকুলকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি নিশীথ প্রামাণিক। এতেই বেড়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নিশীথের চুপ থাকাটা ইঙ্গিতপূর্ণ। 

Advertisement