রাজ্যে ৪ পুর নিগম শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট চলছে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে বুথমুখী রয়েছেন ভোটাররা। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভোট চলছে ভালই। বিক্ষিপ্ত গোলমালের অভিযােগ মিললেও তা ভোটের এসেন্সকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।
পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো উৎসব মেজাজে চন্দননগর শহর। চন্দননগর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাগবাজারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোস্টার ব্যানার দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বেলুনে তৃণমূলে প্রতীক জোড়া ফুল বানিয়ে রাস্তায় লাগানো হয়েছে। চন্দননগরে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোস্টার-ব্যানার ঝান্ডা দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও পৌরনিগম নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্দীপনা তুঙ্গে।
রানিগঞ্জ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী আসার আগেই মগপোল হওয়ার অভিযোগ উঠলো সেক্টর অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। ওই বুথের তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট কাঞ্চন তিওয়ারির অভিযোগ। পোলিং এজেন্ট ভোট গ্রহণ শুরু করতে বাধা দেন। ঘটনাস্থলে প্রিসাইডিং অফিসার এসে পৌঁছলে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬নং ওয়ার্ডে বিরোধীদের অভিযোগ সামনে আসে। বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দলের প্রার্থী সুশোভন মণ্ডল। তাঁর দাবি বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী গৌরী নন্দীর অভিযোগ তাঁর এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। তবে আজ সকাল থেকে তাঁর উপর কোন আক্রমন হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী এই অভিযোগও অস্বীকার করে।
জামুরিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২৭ ও ২৮ নম্বর বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে ছাপ্পা ভোট মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি ও তৃণমূল এর মধ্যে বচসা বাধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, সমস্ত দাবি মিথ্যা। বিজেপির মনগড়া কাহিনী এগুলি।
অন্যদিকে শিলিগুড়িতে ভোট দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও বিদায়ী মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী তৃণমূলের গৌতম দেব সহ অন্যরা ভোট দেন নিজেদের এলাকায়। শিলিগুড়িতে তেমন কোনও গোলমালের অভিযোগ মেলেনি। বামেদের তরফে বহিরাগত এনেছে তৃণমূল বলে আগের দিন অভিযোগ তোলা হলেও ভোটের দিন কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁদের।