
হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদের একটি পুজো প্যান্ডেল। যদিও দেবী দুর্গার জন্য বা মণ্ডপের জন্য এই হইচই নয়। বরং এই পুজো নিয়ে চর্চা হচ্ছে অসুর ও মায়ের হাতে থাকা কাটা মুণ্ডের জন্য।
হ্যাঁ, একবারে ঠিকই পড়ছেন। এই পুজোর মূল আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে মহিষাসুর ও মায়ের হাতে থাকা কাটা মুন্ডু। এখানে অসুর রূপে চিত্রিত করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে। পাশাপাশি দেবী দুর্গার হাতে থাকা নরমুণ্ডতে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে দেখানো হয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই এই পুজো চলে এসেছে শিরোনামে। প্রতিমা দেখতে মানুষের ঢল নামছে।
এই অদ্ভুত থিমকে সামনে এনেছে মুর্শিদাবাদের খাগড়া এলাকার সাধক নরেন্দ্র স্মৃতি সংঘ। তাঁদের এ বারের থিম 'দহন'। এই থিমের মাধ্যমে তাঁরা অশুভ শক্তির অবসানের বার্তা দিতে চেয়েছে।
এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিৎ দুবে বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই ইউনূস ও শেহবাজ শরিফ, দুজনকেই আমরা অশুভ প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।' আর সেই কারণেই এমন উপস্থাপনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যাপক ভিড় হচ্ছে
শহর কলকাতার থেকে বহু দূরের এই প্যান্ডেল ঘিরেও ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ব্যাপক ভিড় হচ্ছে মণ্ডপে। সকলেই এমন অদ্ভুত অসুর ও মুণ্ডকাটা দেখতে চাইছেন। পাশাপাশি তুলে রাখছেন ছবি।
যদিও এই প্রথম নয়, খাগড়া শ্মশান দুর্গোৎসব কমিটি অসুর রূপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর মুখাবয়ব ব্যবহার করেছে। সেই প্যান্ডেলও উঠে এসেছে শিরোনামে। সেখানেও হচ্ছে বিরাট ভিড়। আর সেই পথে হাঁটল সাধক নরেন্দ্র স্মৃতি সংঘ। তাঁদের পুজোও ইতিমধ্যেই হিট।
চলছে টানাপোড়েন
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও তলানাতি গিয়ে ঠেকেছে। পেহেলগাঁও পরবর্তী সময়ে যুদ্ধেও জড়িয়েছে ভারত।
এছাড়া ভালো নেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কও। ইউনূস মসনদে বসার পরই সেই দেশের সঙ্গেও খারাপ হয়েছে সম্পর্ক। ও দিকে ট্রাম্প এবং মোদীর বন্ধুত্বেও ফাঁটল ধরেছে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। এমনকী এইচ১বি ভিসাতেও লাগু হয়েছে নতুন নিয়ম। যার ফলে ভারতীয় শেয়ারবাজারে নেমেছে ধস। রোজ নীচে নামছে সূচক। আর এমন পরিস্থিতিতে এই প্রতিমা নিয়ে যে বেশ খুশিই হবে সাধারণ মানুষ, এ কথা তো বলাই বাহুল্য!