প্রতীকী ছবিTMC চেয়ারম্যানের বাড়িতে বসে SIR-এর ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছিল বিএলও-র বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠেছিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। যদিও বিএলও-র যুক্তি ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়েই তিনি ফর্ম বিলি করেছেন। একটু বিশ্রাম নিতে এসে বসেছিলেন। সেই সময় বেশ কিছু মানুষ যাঁরা বাড়িতে ছিলেন না তাঁরা খবর পেয়ে তাঁর কাছে ফর্ম নিতে এসেছেন। যদিও বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা হিসাবে তাঁর এলাকার তৃণমূল চেয়ারম্যানের বাড়িই পচ্ছন্দ কেন হল তার ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয় স্কুলে বসেই SIR-এর ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছে বিএলওর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের বাবুপুর জুনিয়র হাই স্কুলে।
এই স্কুল থেকেই ভোটারদের SIR ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠেছে বিএলওর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী BLO-র বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করার কথা থাকলেও, এদিন বাবুপুর জুনিয়র হাই স্কুল প্রাঙ্গণের ৮৯ নং বুথে বসেই ফর্ম বিলি করেন BLO। ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনায় স্থানীয় তিনপাকুড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মহঃ আশিকুল ইসলাম জানান, “নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী BLO দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিতে হবে। অথচ এখানে স্কুলে বসে ফর্ম বিলি করায় গোলমাল তৈরি হয়েছে।”
যাকে নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের শুরু সেই বিএলও অঙ্গুরা খাতুনের যুক্তি, সব ফর্ম এসে পৌঁছয়নি। তাই তাঁরা এদিন সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক জায়গায় বসে সকলকে ফর্ম দেওয়া হবে। যদিও এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরা কী করে নিতে পারেন সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।
ঘটনায় সংশ্লিষ্ট BLO আঙ্গুরা খাতুনের স্বামী মহম্মদ মামলাত হোসেন জানান, “আমি আমার স্ত্রীকে এখানে পৌঁছে দিতে এসেছিলাম। এখন ফর্ম বিলি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, কেন বন্ধ হয়েছে তা জানি না, বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছে।” যদিও বাবুপুরে এদিন এমন বিক্ষিপ্ত ঘটনার সৃষ্টি হলেও, সামশেরগঞ্জের অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে BLO রা ফর্ম বিলি করছেন।