শনিবার আরজি কর কাণ্ডের এক বছরে নবান্ন বা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দিল না প্রশাসন। এই দুই কর্মসূচিই কোনওভাবেই করা যাবে না, শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। নিয়ম অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির বিকল্প স্থানের প্রস্তাবও দিয়েছে পুলিশ। সেগুলি কোথায়? বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্য পুলিশ দুইটি জায়গা নির্দিষ্ট ঠিক করে দিয়েছে। প্রথমটি হল সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড। অপরটি হল রানি রাসমণি চত্বর। আইন মেনে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের করা যাবে।
অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি?
শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার মা বাবা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, আয়োজকরা এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি চাননি। ফলে সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। গত বছর ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযান হয়েছিল। তাতেও বিজেপি সমর্থন জানিয়েছিল।
আদালতের রায় ও পুলিশের যুক্তি
পুলিশ জানিয়েছে, নবান্ন অভিযান ঠেকাতে দুটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। একটি মামলার রায়ে আদালত জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সাংবিধানিক অধিকার, তবে হিংসা বা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা যাবে না। প্রয়োজনে রাজ্য প্রশাসন বিধিনিষেধ জারি করতে পারে।
নবান্ন রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর। সেখানে সবসময় উচ্চস্তরের নিরাপত্তা থাকে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (সাবেক ১৪৪ ধারা) সবসময় কার্যকর থাকে। তাই ওই এলাকায় কোনও মিছিল বা জমায়েত নিষিদ্ধ।
পুলিশের সতর্কবার্তা
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেছেন, 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য আবেদন করুন। কোথা থেকে কত জন আসবেন, তা আগে জানান।' কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে অভয়া মঞ্চের কালীঘাট অভিযানের অনুমতিও দেওয়া হবে না। আয়োজকদের বিকল্প স্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি থাকবে, তাই আইন ভাঙলে সহজেই শনাক্ত করা হবে।