Nadia: হাঁসখালিতে শিক্ষককে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি, কেন?

নদিয়ার হাঁসখালীর বগুলা বাজারে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে গণধোলাই দিলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রঞ্জিত ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি বিদ্যালয়ের নাবালিকা ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন।

Advertisement
হাঁসখালিতে শিক্ষককে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি, কেন?নদিয়ায় শিক্ষককে মার।-কোলাজ
হাইলাইটস
  • নদিয়ার হাঁসখালীর বগুলা বাজারে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে গণধোলাই দিলেন স্থানীয়রা।
  • অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রঞ্জিত ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন।

নদিয়ার হাঁসখালীর বগুলা বাজারে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে গণধোলাই দিলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রঞ্জিত ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি বিদ্যালয়ের নাবালিকা ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন।

ঘটনার সূত্রপাত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্রীরা রঞ্জিত ঘোষের অশালীন আচরণের বিষয়ে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনাও করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর আজ, মঙ্গলবার, ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পালানোর চেষ্টা, গণধোলাই
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত শিক্ষক রঞ্জিত ঘোষ বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। পালানোর সময় স্থানীয়রা তাকে বগুলা বাসস্ট্যান্ডে ধরে ফেলেন। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ধরে গণধোলাই দিতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের হস্তক্ষেপ
খবর পেয়ে বগুলা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে হাঁসখালি থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

অভিযোগ জমা পড়েনি, তদন্তে পুলিশ
এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, এতদিন স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ায় তাঁরা সুবিচারের আশায় রয়েছেন।

 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement