Nadia: বাড়ির অমতে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে, কলেজ ছাত্রী মেয়ের শ্রাদ্ধ করলেন মা

মুসলিম ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করার অপরাধ! জীবিত কলেজ ছাত্রীর শ্রাদ্ধ করল পরিবারের সদস্যরা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়াতে। ভাইঝির শ্রাদ্ধের কাজ করলেন কাকা। কী বক্তব্য তাঁর?

Advertisement
বাড়ির অমতে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে, কলেজ ছাত্রী মেয়ের শ্রাদ্ধ করলেন মাজীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ পরিবারের
হাইলাইটস
  • মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার চরম পরিণতি
  • জীবিত কলেজ ছাত্রীর শ্রাদ্ধ করল পরিবারের সদস্যরা
  • ভাইঝির শ্রাদ্ধের কাজ করলেন কাকা

জীবিত অবস্থায় কলেজছাত্রীর শ্রাদ্ধ করল পরিবার। ছবিতে মালা দিয়ে, পুরোহিত ডেকে শ্রাদ্ধশান্তির পুজোও দেওয়া হল। চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়াতে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত পরিবারের?

জানা গিয়েছে, মেয়ের ‘অপরাধ’ বাড়ির অমতে অন্য ধর্মের এক যুবককে বিয়ে করা। আর সে কারণেই  নদিয়ার হাঁসখালি এলাকার গাজনা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই প্রাপ্তবয়স্ক কলেজ ছাত্রী জীবিত থাকতেই তাঁর শ্রাদ্ধ করে ফেললেন মা-কাকা-কাকি-জেঠু-জেঠিমারা। 

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত মঙ্গলবার, ১৭ জুন গভীর রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান কলেজ ছাত্রী। মুসলিম এক যুবককে বিয়ে করেন বলে বাড়ির লোকের অভিযোগ। মেয়ের এই ভিন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। আর তাই পরিবারের সদস্যরা  জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ করে তাঁর সঙ্গে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।

 বাড়িতে পুরোহিত ডেকে মাথা নেড়া করে জীবিত ভাইঝির শ্রাদ্ধের কাজ করেন তাঁর কাকা। এ-ও জানা গিয়েছে, ওই কলেজছাত্রীর বাবা বর্তমানে কর্মসূত্রে ইজরায়েলে থাকেন এবং সেখানে যুদ্ধের পরিবেশের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই এই শ্রাদ্ধের বিষয়ে অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে কিছু জানানো হয়নি। ওই ছাত্রীর কাকা বলেন, ‘আমার ভাইঝি প্রেমে পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই বাড়ি ছেড়ে ওই ছেলেটার সঙ্গে চলে গিয়েছিল। ছেলেটা অন্য ধর্মের, তার উপর বিবাহিত। কিছু দিন পর আমরা ওকে বুঝিয়েসুজিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিলাম। মাস তিনেক ও বাড়িতেই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আমার ভাইঝি আবার পালাল ওই ছেলেটার সঙ্গে। শুনেছি, ওকেই ভাইঝি বিয়ে করেছে। মেয়ে আমাদের সবার খুব প্রিয় ছিল। আর আমার তো খুবই আদরের। কিন্তু এত বার আমরা সবাই মিলে বোঝানোর পরেও ও যা করল, সেটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ওর সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক আমাদের নেই। তাই, সামাজিক প্রথা মেনে পুরোহিত ডেকে নিজে নেড়া হয়ে ওর শ্রাদ্ধশান্তি করেছি।’

Advertisement

জীবিত ভাইঝির শ্রাদ্ধ করতে খারাপ লাগল না? তরুণীর কাকা বলছেন, ‘কষ্ট মানে? বুকে কেউ পাথর দিয়ে ধাক্কা দিলে যেমন হয়, সে রকম কষ্ট হয়েছে। তবু আমরা ঠিক করেছি, ও যদি কোনও দিন বাড়িতে ফিরেও আসতে চায়, তা হলে আমরা ওর জন্য বাড়ির দরজা খুলব না।’ ছাত্রীর এক কাকিমার বক্তব্য, ‘আমাদের ভালবাসা, বিশ্বাসে ও চরম আঘাত দিয়েছে। তাই, ও যাতে আর এ বাড়িতে ফিরতে না–পারে, তার জন্য ওর শ্রাদ্ধ করা হলো।’ কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, তবু মেয়ের 'অন্যায়' মেনে নিতে পারেননি তিনি। 

 

POST A COMMENT
Advertisement