নবাগতদের আমন্ত্রণ জগন্নাথের।সামনেই ছাব্বিশের নির্বাচন। তার আগে নজিরবিহীন রাজনৈতিক পালাবদল। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শোনঘাটায় প্রায় ৩০টি পরিবারের মোট ২০০ জন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক একসঙ্গে যোগ দিলেন বিজেপিতে। সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে দলে টেনে নিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন সুপ্রভাত মণ্ডল। সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'আমরা আজ না, বহুদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের সবার পরিবারই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ও ভোটার। কিন্তু আজ আমরা ‘হার্মাদ বাহিনীর’ অত্যাচার ও রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ফলে বাঁচতে চাইলে তৃণমূল ছাড়তেই হবে।' একইসঙ্গে তৃণমূলের অন্যান্য কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'যদি নিরাপদে থাকতে চান, বিজেপিতে যোগ দিন।'
এদিন গণ-দলবদলের 'অনুষ্ঠানে' উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। বলেন, 'রাজ্যে যাঁরা সৎ, ভাল মানুষ, তাঁরা শেষ পর্যন্ত বিজেপিকেই বেছে নেবেন। বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে। SIR নিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোনও ভারতীয়ের নাম বাদ যাবে না।' তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ‘মিথ্যাচার’ করছে এবং ভয় দেখিয়ে মানুষের মন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সাংসদের বক্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে SIR ফর্ম নিতে বারণ করছেন। অথচ তিনিই নাকি আগেই ফর্ম ফিল আপ করে ফেলেছেন। ফর্ম না নিলে ভোটার লিস্টে নাম থাকবে না, ভোটও দেওয়া যাবে না, তাই মানুষের সামনে দ্বিমুখী বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল।'
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ যত বাড়ছে, কৃষ্ণগঞ্জের সমীকরণও ততই বদলে যাচ্ছে। আগামিদিনে এই দলবদলের কোনও প্রভাব সেখানকার ভোটব্যাঙ্কে পড়ে কিনা, সেটাই দেখার।
সংবাদদাতা: সুরজিৎ দাস