কাকলি ঘোষ দস্তিদার।-ফাইল ছবিএসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার খসড়া তালিকায় নাম না থাকায় শুনানিতে ডাকা হল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের চার সদস্যকে। নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর দুই ছেলেকে। পাশাপাশি শুনানিতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদের ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা এবং তাঁর বোনকেও। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার নিজে। গোটা এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সাংসদের বক্তব্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই একই বুথে ভোট দিয়ে আসছেন। তাঁর দুই ছেলেই প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও পরিবারের সদস্যদের নাম খসড়া তালিকায় না থাকা এবং শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত। তাঁর প্রশ্ন, এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হল এবং কী কারণেই বা খসড়া তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ পড়ল?
সূত্রের খবর, শুনানির জন্য কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের ওই সদস্যদের বিডিও অফিসে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তবে খসড়া তালিকায় নাম না থাকা বা শুনানির নোটিস পাঠানোর কারণ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি।
এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই তাড়াহুড়ো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র দু’মাসে দু’বছরের কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগও সামনে এসেছে। ডানকুনির এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নামের পাশে ‘মৃত’ লেখা থাকার ঘটনাও ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি করেছে।
২০০৯ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের প্রশ্ন, যদি একজন সাংসদের পরিবারের সদস্যদের এভাবে শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কতটা জটিল হতে পারে? তাঁর দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়েই গুরুতর সংশয় তৈরি হয়েছে।