মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় মহিলা কমিশন। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছেন হিংসা কবলিত এলাকার হিন্দুরা, এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন। পর্যবেক্ষণে কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের উপর পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছেন এলাকার হিন্দুরা। নিরাপত্তার জন্য তাঁরা এলাকায় বিএসএফ বা সিআরপিএফ ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন। গত ১৯ এপ্রিল শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিলেও এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা ঘরছাড়া পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধানের সময় রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলেও দাবি করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
এক প্রেস বিবৃতিতে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, 'আক্রান্তরা বর্ণনা করেছেন, কীভাবে তাঁদের ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বার করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদর মেয়েদের ধর্ষণের জন্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। এই ঘটনায় ওই মহিলারা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।'
কমিশন আরও জানিয়েছে, ত্রাণ শিবিরগুলির অবস্থা শোচনীয়, বিশেষ করে মালদা জেলায়। খাবার, পোশাক, জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছেন না ঘরছাড়ারা। আক্রান্ত পরিবারগুলিতে ত্রাণ সাহায্য দিতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান-সহ বেশ কিছু এলাকা। অশান্তির ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। গত সপ্তাহে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুরে দেখে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।