Palmajua Of Darjeeling Near Mirik: হিল্লি-দিল্লি অনেক ঘুরেছেন। আর দার্জিলিং তো বাঙালি ছোট থেকে আমৃত্যু অন্তত ডজন খানেকবার যায়। কিন্তু দার্জিলিং শহর ও শহরকেন্দ্রিক টুরিজমের বাইরে কজন ঘোরেন? ইদানীং অফবিট হোমস্টে আর কিছু জায়গা ঘোরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তবে তাও সামান্যই। আজ আমরা যে জায়গার নাম আপনাদের জানাব। হলফ করে বলতে পারি আশি শতাংশ মানুষই এই জায়গার নাম জানেন না। অনেকেই আশপাশ দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখানে আসেননি। আর আসবেনই বা কী করে? জায়গাটাই তো চেনেন না। তবে একবার ঘুরে দেখতে পারেন। ঠকবেন না।
কোন সেই জায়গা?
উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঢাল আর সেই পাহাড়ের ঢালে চা বাগান আর কমলালেবুর গাছ। শীতে গেলে কমলালেবু দেখতে পাবেন।মনে হয় যেন কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ৫,৮০০ ফুট উচ্চতা। কাছেই মিরিক। পাশেই সুদীর্ঘ লেক। পাইন-ওকের জঙ্গল। এই মেঘে ঢেকে গেল এলাকা। দেড় হাত দুরে কিছুই দেখা যায় না। আবার কয়েক মিনিট। কোথায় কী সব পরিষ্কার। জায়গাটার নাম পালমাজুয়া।
আশপাশ ঘোরার জায়গা
দেখে নিতে পারেন— মিরিক গুম্ফা, টিংলিং ভিউপয়েন্ট, টিবেটান গুম্ফা। সুমেন্দু লেক ছাড়িয়ে দূরে পাহাড়ের মাথায় চলে আসুন। এখানেই রামেতি ভিউ পয়েন্ট। মেঘ না থাকলে এখান থেকেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। কি অপূর্ব দৃশ্য! না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না যে প্রকৃতি আপন খেয়ালে নিজের রূপ-রং-গন্ধ কী ভাবে বদলাচ্ছে।
কাছেই রয়েছে স্কুলদাঁড়া। শান্ত প্রকৃতির মাঝে এক স্বল্পচেনা নৈসর্গিক ঠিকানায় যেতে হলে ঘুরে আসুন লোয়ার মিরিকে। পাহাড়ের ঢালে সবুজে ঘেরা ছোট্ট একটি গ্রাম। গুরুং জনজাতিদের বাস। এদের আতিথেয়তা মন ভরিয়ে দেবে আপনার। লোয়ার মিরিকের এই গ্রামের নাম স্কুলদাঁড়া। বাহারি ফুলের মেলা আর পাখি দেখার আদর্শ ঠিকানা এই স্কুলদাঁড়া। চেনা মিরিকের কাছে অল্পচেনা স্কুলদাঁড়া অজ্ঞাতবাসের এক সেরা ঠিকানা।
পালমাজুয়া
কুয়াশা আর মেঘ তো পাহাড়ে দেখাই যায়। মেঘ উড়ে আসে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে। নির্জন এই পাহাড়িয়া গ্রামে হাঁটলেই কুয়াশার চাদর যেন আষ্টেপৃষ্ঠে গায়ে জড়িয়ে ধরে। রোদ উঠলেই আবার বদলে যায় চেহারা। ঘন নীল আকাশের নীচে পাইন, ওক, বারচ, ধুপির ঠাসবুনোটে মোড়া এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পালমাজুয়া। কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। অপরূপ প্রকৃতির মধ্য়ে হোমস্টে। কাছেই পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্ট। চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কপাল ভাল থাকলে রেডপাণ্ডাও দেখতে পাবেন। এখানে রয়েছে মাছ ধরার বন্দোবস্ত। শিরিখোলায় নিজেই মাছ ধরে ভেজে খেতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
দমদম বা শিয়ালদহ/হাওড়া থেকে ট্রেনে/বিমানে এনজেপি। সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে আসা যায় মিরিক। দূরত্ব ৬০ কিমি।
কোথায় থাকবেন?
রয়েছে জিটিএ মিরিক ট্যুরিস্ট লজ (০৩৫৪-২২৪৩৩৭১/৭২) ভাড়া ১,৫০০ টাকা।
বেসরকারি হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল জগজিৎ (২২৪৩২০৫) ভাড়া ২,২০০-৫,০০০ টাকা। সদ্ভাবনা (২২৪৩৬৫১) ভাড়া ১,৩৫০-১,৫০০ টাকা। দি পার্ক (২২৪৩৩১৯) ভাড়া ১,৩৫০-২,৩৫০ টাকা।
স্কুলদাঁড়ায় থাকার জন্য রয়েছে রাংভাং হোমস্টে ( ০৯৮৩২৯-১৩৬১৭) ভাড়া ১,২৫০ টাকা। খাওয়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা। রোধীঘর হোমস্টে (০৯৮৩২৬৩০৩৩০) ভাড়া ১,২৫০ টাকা। খাওয়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা।