
এসআইআর (SIR) ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি চলছিল, তখনই শিরোনামে উঠে এসেছিল নিউটাউনের ঘুনি বস্তির প্রসঙ্গ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি ছিল, ওই বস্তিতে বসবাসকারীদের বড় অংশই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বুধবার সন্ধেয় সেই বস্তিতেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে যাওয়ায় নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, এই আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই লাগানো হয়েছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডেলে দাবি করেন, ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের পর যেসব নাম বাদ পড়েছে, তা ধামাচাপা দিতেই তৃণমূল কংগ্রেস এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাঁর ভাষায়, ভোটার তালিকায় ফের নাম তুলতেই আগুন নিয়ে খেলেছে তৃণমূল।
Days before the Election Commission of India (ECI) is set to begin hearings on notices to be served to illegal Bangladeshi and Rohingya settlers, a massive fire has broken out in the Ghuni slum near Eco Park, New Town.
— Amit Malviya (@amitmalviya) December 17, 2025
Ever since the SIR process began in West Bengal, visuals of… pic.twitter.com/J9FgALqOxF
উল্লেখ্য, বুধবার শীতের সন্ধেয় নিউটাউনের ইকো পার্ক সংলগ্ন ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। শতাধিক ঝুপড়ি মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর সংক্রান্ত আবহে ওই বস্তির বহু বাসিন্দা এলাকা ছাড়ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই আগুন লাগার ঘটনায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে দুর্ঘটনা না চক্রান্ত, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। তবে ভোটার তালিকা সংশোধনের আবহে এই ঘটনা যে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে, কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঝুপড়িগুলোতে বাঁশ, ত্রিপলের মতো দাহ্য পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বস্তিতে ঢোকার রাস্তা সরু এবং ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।