scorecardresearch
 

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের রোগ নির্ণয়ে মাল্টিপ্লেক্ট PCR কিট ব্যবহারে সবুজ সংকেত

উত্তরবঙ্গে শিশু মৃত্যুর মিছিল উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যাতে অযথা সময় ব্যয় না হয় তাই মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআরে সবুজ সংকেত মিলল। এখন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই হবে শিশুদের রক্ত ও লালারস নমুনার পরীক্ষা। রোগ নির্ণয় করতে নমুনা পাঠাতে হবে না কলকাতায়।

Advertisement
মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআর কিট ব্যবহারে সবুজ সংকেত মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআর কিট ব্যবহারে সবুজ সংকেত
হাইলাইটস
  • এখন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই হবে শিশুদের রক্ত ও লালারস নমুনার পরীক্ষা
  • রোগ নির্ণয় করতে নমুনা পাঠাতে হবে না কলকাতায়
  • এরফলে শিশুদের চিকিৎসায় আরও গতি বাড়বে

উত্তরবঙ্গে শিশু মৃত্যুর মিছিল উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যাতে অযথা সময় ব্যয় না হয় তাই মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআরে সবুজ সংকেত মিলল। এখন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই হবে শিশুদের রক্ত ও লালারস নমুনার পরীক্ষা। রোগ নির্ণয় করতে নমুনা পাঠাতে হবে না কলকাতায়। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআর নামে ওই কিট ব্যবহারের সবুজ সংকেত মিলেছে যার ফলে এখন সহজেই মিলবে শিশুদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। এরফলে শিশুদের চিকিৎসায় আরও গতি বাড়বে বলে আশা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের।

উত্তরবঙ্গ জুড়ে শিশুদের অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়তেই উদ্বেগ বাড়ছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের। জ্বরের সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য হাসপাতাল এবং মেডিকেল কর্তৃপক্ষের তরফে শিশুদের রক্ত ও লালারসের নমুনা পাঠানো হতো কলকাতার স্কুলস অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে । রাজ্যের অন্যান্য জেলার হাসপাতাল থেকেও ওখানে নমুনা পরীক্ষায় জন্য পাঠানো হয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে নমুনার চাপে বাড়ত যে কারণে সেই নমুনার রিপোর্ট আসতে দেরি হতো। এতে চিকিৎসায় বেশ বেগ পেতে হত চিকিৎসকদের। সেই সমস্যা সমাধানে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআর নামে ওই কিট ব্যবহারের সবুজ সংকেত মিলেছে। 

ইতিমধ্যে ওই কিটের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মোট ছয় রকমের রোগ নির্ণয়ের কিট নেবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালেই শুরু হবে শিশুদের নমুনা পরীক্ষা। ওই কিটের মাধ্যমে হাসপাতালের ভাইরাল রিসার্চ এন্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে করা হবে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা। মেডিকেল তরফে জানা গেছে এতে যেমন দ্রুত পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি রিপোর্ট মিলবে চটজলদি। এতে শিশুদের চিকিৎসার গতি আরও বাড়বে। 

মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের  সুপার সঞ্জয় মল্লিক, অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে রিভিউ মিটিং করে জেলাশাসক এস পুন্নমবল।

Advertisement

এদিনের বৈঠক শেষে জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "পরীক্ষার জন্য কিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর নমুনা স্কুলস অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠাতে হবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালে পরীক্ষা হবে।" পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেক দিন গড়ে দশ থেকে ১৫ জন শিশু উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ  ও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সব মিলিয়ে শিশুদের জন্য ১১৫ টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৪ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।

Advertisement