North Bengal University: ওই অধ্যাপক অবৈধ বাংলাদেশি? তোলপাড় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

কাঁটাতার পেরিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট ফ্যাকল্টি। নাম শান্ত ভৌমিক ওরফে শান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ছাত্র শান্ত। ছাত্র থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মাস কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের গেস্ট ফ্যাকল্টি। শিলিগুড়িতে এসে শান নামে বাইক কেনেন তিনি। পাসপোর্ট, ভিসাতেও তাঁর নাম শান্ত ভৌমিক। এমনকি নিজের নামে বাড়িও কেনেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
ওই অধ্যাপক অবৈধ বাংলাদেশি? তোলপাড় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েশান্ত ভৌমিক ওরফে শান

কাঁটাতার পেরিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট ফ্যাকল্টি। নাম শান্ত ভৌমিক ওরফে শান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ছাত্র শান্ত। ছাত্র থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মাস কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের গেস্ট ফ্যাকল্টি। শিলিগুড়িতে এসে শান নামে বাইক কেনেন তিনি। পাসপোর্ট, ভিসাতেও তাঁর নাম শান্ত ভৌমিক। এমনকি নিজের নামে বাড়িও কেনেন বলে অভিযোগ।

ওই ছাত্র সম্পর্কে তদন্ত করতে চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, শুক্রবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপনকুমার রক্ষিত পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

bangla.aajtak.in-এর তরফে মাস কমিউনিকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বরুণ রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। পরে মেন্টর হন।" তিনি পলাতক কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানেন না বলেই মন্তব্য করেন। গোটা বিষয়টি উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে।

এই ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশ থেকে এসে নিজের নামে কীকরে বাইক পেলেন শান্ত ওরফে শান? শিলিগুড়ি আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অধীনে শিলিগুড়ির স্থানীয় ঠিকানায় বাইকটির রেজিস্ট্রেশন হয়। ভোটার, আধার বা প্যান কার্ড জমা না দিয়ে রেজিস্ট্রেশন হওয়া সম্ভব নয়। তারওপর বাইকটি ঋণে নেওয়া। অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন মিলেছে তা মনে করা হচ্ছে। তবে কি এদেশের আধার, ভোটার বা প্যানকার্ড করিয়েছেন তিনি? করলে কারা করিয়েছে?  

জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে তদন্তের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন ডিন মহেন্দ্রনাথ রায়। মাস কমিউনিকেশনের বিভাগীয় প্রধান (HOD) বরুণ রায়ের সঙ্গে কথা বলা হবে। কীভাবে একজন  ছাত্র ভিসায় আসা বাংলাদেশই নাগরিক গেস্ট ফ্যাকাল্টি হয়ে গেলেন, তাও নিয়োগের কোনও যোগ্যতা যাচাই ছাড়া। এই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন করা হবে বিভাগীয় প্রধানকে। 

এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হওয়াপ পর গা ঢাকা দেন শান্ত। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে উত্তরবঙ্গের এক সংবাদমাধ্যমের খবর।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement