হিমশৈলের চূড়া
উত্তরবঙ্গে পা রেখেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলকে। আইন শৃঙ্খলার যেটুকু অবনতি দেখা যাচ্ছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রাজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি সোমবার শিলিগুড়িতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এভাবেই রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরূপ ছিলেন তিনি।
রাজ্যের কিছুই হয়নি মনোভাব ঠিক নয়
তিনি বলেন, যে কোনও ঘটনাতেই কিছুই হয়নি ধরনের অবস্থান সরকারের ঠিক নয়। সরকারের উচিত রায়ের উপর যাচাই করা তার বিরোধিতা করা নয়। পাশাপাশি এদিন তিনি বলেন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সোমবার সস্ত্রীক রাজ্যপাল সাতদিনের পাহাড় সফরে আসেন। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।
সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর
প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে ফিরে সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন দুপুরে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যপাল সস্ত্রীক সরাসরি সড়কপথে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বিজেপি ও পাহাড়ের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের কথা
রাজ্যপালের এই সাতদিনের সফর কালে তিনি দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকবেন। জানা গিয়েছে রাজ্যপাল তাঁর এই সাত দিনের সফরে পাহাড়ের বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলবেন। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে যখন বিজেপি সাংসদ এর পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি নিয়ে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেই সময় রাজ্যপালের এই সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ
যাওয়ার আগে এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভোট-পরবর্তী হিংসা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। বাস্তবে যা দেখা যাচ্ছে। তা শুধুমাত্র হিমশৈল। এর ভিতরের পরিস্থিতি আরও জটিল এবং ভয়ঙ্কর।
ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যের ভূমিকা শূণ্য
ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকী কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের ক্ষতিপূরণ কোনও রকম ব্যবস্থা করা হয়নি। যেভাবে পরিস্থিতি চলছে, এতে রাজ্যের যে গণতন্ত্রের পরিবেশ রয়েছে তার ওপর কুঠারাঘাত করা হচ্ছে। অন্যদিকে এদিন তিনি, রাজ্যের মামলা হাইকোর্টে খারিজ প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সমস্ত বিষয় জানিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যের সব সময় কিছু হয়নি এই অবস্থান নেওয়াটা শেষ হওয়া উচিত।