হুগলিতে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হুগলির লোহারপাড়া এলাকার ঘটনা। নিহত যুবকের নাম সঞ্জয় রাজবংশী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে হুগলি স্টেশনের কাছেই এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযুক্ত ছিলেন যুবক এবং দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর পর জামিনে ছাড়া পান সঞ্জয় এবং তারপর থেকেই তিনি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় দিদির বাড়িতে থাকতেন।
মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও, দোলের পর থেকেই তিনি হুগলিতে থাকতে শুরু করেন এবং স্থানীয়ভাবে টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় তিনি হুগলি স্টেশনের কাছে হনুমান পুজোর এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাত প্রায় সাড়ে ১২টার সময়, পরিবারের দরজায় একজন অচেনা ব্যক্তি কড়া নাড়েন এবং বলেন যে সঞ্জয় রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখেন, রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সঞ্জয়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি পূর্ব শত্রুতার জের হতে পারে।
পরিবারের দাবি, যিনি রাতের বেলা দরজায় এসে খবর দেন, তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে একাংশ মনে করছেন, সঞ্জয়ের পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল জানান, আরও বিস্তারিত তদন্তের পরেই খুনের প্রকৃত কারণ এবং অভিযুক্তদের পরিচয় জানা যাবে।
সংবাদদাতা- ভোলানাথ সাহা