Suvendu Adhikari: সনাতনী মঞ্চ থেকে ওয়াকফ বোর্ডের মতো, ভারতে সনাতনী বোর্ড গঠনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে আক্রমণ করেন। প্রশ্ন তোলেন, ভারতে কেন সনাতন বোর্ড তৈরি হবে না? কেন লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন হবে না, কেন ধর্ম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আইন হবে না?
তিনি বলেন, "একুশে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে হারাতে গিয়েছিলেন, ২৫ ভাগ মুসলমান, আমার ৭৫ হাজার হিন্দু ভোট নানাভাবে বিভক্ত। আমি বললাম মমতাকে হারাতে হবে। রোহিঙ্গা ঢুকিয়ে বাংলা ধ্বংস করছে। ৭২ জায়গায় বিএসএফকে বেড়া করতে দেয় না।.... আমি ৬৫ ভাগ হিন্দুকে ভাগ করে ভোট ঐক্যব্ধ করে মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়েছিলাম।..."
বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আমরা বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য হয় মাত্র ১১.১০ বিলিয়ন। আপনারা অনেক দূরে। আমাদের অর্থনীতি আপনাদের ওপর নির্ভর করে না। আমরা পেঁয়াজ, আলু, এডিবেল ভেজিটেবল, ডিম পাঠাই। শিপ, বোট, নৌকো, লঞ্চের যন্ত্র মেশিন ভারত দেয়। একদিন পেট্রোপোল বন্ধ করেছিলাম, পেঁয়াজ পচে গেছে। ভারতের জন্য বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে।"
এদিন এই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া বেলঘরিয়ার সায়ন ঘোষও উপস্থিত হন। নিজের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়ে বলেন, "আমার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। তার পরিবারকেও মারাত্মকভাবে শাসানো হচ্ছে। কারণ, সে আমাকে আশ্রয় দিয়েছে, একজন হিন্দুকে আশ্রয় দিয়েছে, সে একজন ভারতীয়কে আশ্রয় দিয়েছে। তাঁকে প্রচণ্ড পরিমাণে শাসানো হয়, মারধর করা হয়। যখন আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে যাই, তখন আমাকে হিন্দু বলে সাহায্য করা হল না। ওখান থেকে ফেরার সময় মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমার বন্ধু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়েছে।"
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য টেনে বলেন, "সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি হাম দো হামারা চার বলেছেন। ভারতের সংবিধানকে আক্রমণ করেছেন। কলকাতা পুলিশের জলের গাড়ি, সরকারের বাস, আপ্যায়নের ত্রুটি ছিল না। যাহা বাংলাদেশেরে ইউনুস তাহাই মমতা। ওয়াকফ নিয়ে এই মঞ্চ থেকে ৫, ১৫, ২৫, ৫০.. যেখানে জমায়েত হবে সেটাই ওয়াকফের সম্পত্তি হবে ঘোষণা করেছেন। এর জন্য অনুমতি লাগেনি, পুলিশের অনুমতি লাগেনি।"
শুভেন্দু আরও বলেন, "ভাবছেন ওপারে হচ্ছে আমার কী? ফালাকাটায় মণ্ডপে ঢুকে পড়ল শঙ্খ, উলু বন্ধ। গার্ডেনরিচে মন্ত্রপাঠ বন্ধ। আমি ওই মণ্ডপে গিয়ে আরতি করে এসেছি। যে ভাষাতে বললে সন্তুষ্ট হয় সেই ভাষাতে বলে এসেছি গার্ডেনরিচের মাটিতে। বেলডাঙাতে নাকি সব হিন্দু মন্দির মুসলমানরা পাহারা দিয়েছে, আমি না মমতা ব্যানার্জি বলেছেন.. হলদিয়ায় নিরঞ্জন মিছিলে ঢিল ছুড়ল। রাজাবাজারে কালিপুজোয় হামলা করল। বেলডাঙায় প্রবেশ করতে দেয়নি, তাই দুজনের মধ্যে পার্থক্য নেই। এই লড়াই বেঁচে থাকার নয়, অস্তিত্বের লড়াই। আর মুখ বন্ধ রাখা যাবে না।" শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর শৌর্য দিবস পালনের ডাক দেন শুভেন্দু।