“কংগ্রেসের পুনরুত্থান শুরু হয়েছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের পা ধরেছেন।” এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর আরও দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে এবার কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, “বিজেপি বলবে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের মিল হয়ে গেল। মমতার দলের লোক বলবে, কংগ্রেস করে কী হবে, ফিরে এসো। কোনও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। আমি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে যাচ্ছি, আমাদের লড়াই এই পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতবর্ষে। একদিকে বিজেপি আরেকদিকে টিএমসির বিরুদ্ধে।” সোমবার মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে উপস্থিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও এদিন তিনি দত্তপুকুরে যান, বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিয়েছেন। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দত্তপুকুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার সময় পেলেন না। অথচ উনি অমিতাভ বচ্চনকে রাখি পড়াতে মুম্বই যাবেন। এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় এর সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছে কি না, তিনি বলেন, "এটা আমার বলার কথা নয়। এটা প্রশাসন, পুলিশের তদন্ত করে দেখার কথা। যদি থেকে থাকে, তাহলে সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। তাঁরা কী করছে, রাজ্যের প্রাথমিক তদন্ত করার দায়িত্ব, তাঁরা চুপ করে আছেন কেন?" তিনি আরও বলেন, জঙ্গি কার্যকলাপের পর এখানে এভাবে বোমা বিস্ফোরণের পেছনে কোনও উগ্রপন্থী কার্যকলাপ রয়েছে কি না বা তার আড়ালে তৃণমূল রয়েছে কি না, সবটাই তদন্ত করে দেখলে পরিষ্কার হবে বলে তাঁর দাবি। তিনি অভিযোগ করেন, আমাজনের মতো অ্যাপ দিয়ে তৃণমূল বোমা সরবরাহ করছে।" মুখ্য়মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, মানুষকে বারবার ধোঁকা দিয়ে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় আসবেন এটা হতে পারে না।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার জবাবে তিনি বলেন, "চোর যখন তখন গ্রেফতার হতে পারে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।"
রবিবার উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে একাধিক মৃত্যুর খবর মেলে। রবিবার সকালের দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বেশ কয়েকটি বাড়ির ছাদ, দেওয়াল উড়ে গেছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজি কারখানাটি অবৈধ ভাবে চলছিল। এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের মদতেই এই বাজি কারখানা চলছিল। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ওসি ও দত্তপুকুর থানার আইসিকে সাসপেন্ড করে ক্লোজ করা হয়েছে। এদিন অধীর চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।